চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিশ্ব থেকে হারিয়ে যাবে ৪২ দেশ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ অক্টোবর, ২০২১ | ১২:৫৭ অপরাহ্ণ

জাতিসংঘের আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পৃথিবী থেকে বেশ কিছু ছোট দেশ হারিয়ে যেতে পরে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) এক সাক্ষাৎকারে কমনওয়েলথ মহাসচিব ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, বিশ্বের ৪২টি ছোট দেশের অস্তিত্ব হুমকিতে রয়েছে। লোকজন বলছে যে এমন কিছু ঘটবে না। কিন্তু এসব দেশের জন্য ঝুঁকি রয়েছে।

ব্রিটিশ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী বর্তমানে রোম সফরে রয়েছেন। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিচু ভূমির দ্বীপ টুভালু ও নাউরুসহ কমনওয়েলথের কিছু ছোট সদস্য নতুন কোথাও যাওয়ার জায়গা খুঁজছে। কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, যা এসব দেশের জন্য বিপজ্জনক।

স্বদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বারবার হারিকেনের আঘাত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্যারিবীয় দ্বীপ ডমিনিকায় জন্ম নেওয়া এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ডমিনিকা দেখতে একটি সুদৃশ্য বাগানের মতো। কিন্তু ২০১৭ সালে হারিকেন মারিয়া আঘাত হানলে গাছের বাকল পর্যন্ত উঠে যায়। গাছে কোনো সবুজ পাতা ছিল না। দ্বীপটিকে দেখতে এখন রণক্ষেত্রের মতো লাগছে।

স্কটল্যান্ডের শহর গ্লাসগোতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন হতে যাচ্ছে। অর্থনীতিকে কার্বন নিঃসরণমুক্ত রাখতে ও বিপর্যয়কর বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে বাঁচতে নতুন পথ বাতলে দিতে চুক্তি নিশ্চিত করতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্লাসগোর এই জলবায়ু সম্মেলনের সাফল্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা কতটা কাজ করবে। সম্মেলনে কী হয় তার ওপর আগামী দিনগুলোতে সারাবিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে বড় রকমের পরিবর্তন আসতে পারে।

প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, এখন পদক্ষেপ নেওয়ার বাইরে মানুষের সামনে কোনো বিকল্প নেই। দরিদ্র দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা সবাই এখন একই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। কিন্তু আমরা সবাই একই পরিস্থিতির মধ্যে নেই।

৫৪টি দেশ ও ২৬০ কোটি মানুষকে একজায়গায় নিয়ে এসেছে কমনওয়েলথ। সংস্থাটির প্রথম নারী প্রধান ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। তিনি বলেন, আমার অবস্থানে থেকে যা প্রত্যাশা করছি, তা অর্জন করতে আমাকে আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে। কিন্তু তা অবশ্য সদস্য দেশগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট