চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দুই চরমপন্থি দলনিষিদ্ধ শ্রীলংকায়

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:২৩ পূর্বাহ্ণ

ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় চার গির্জা, তিন হোটেল ও এক বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় দুই চরমপন্থি ইসলামি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। নিজের বিশেষ জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। শনিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃৃতিতে একথা জানানো হয়।-ফোকাস বাংলা
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিবৃতি অনুসারে, হামলার ঘটনায় ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) এবং জামাতেই মিল্লাথু ইব্রাহিম- এই সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল শ্রীলংকার আট জায়গায় বোমা হামলার ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ২৫৩ জন। আহত

হন পাঁচ শতাধিক। হামলার পরপরই স্থানীয় চরমপন্থি কোনো সংগঠন এই হামলা চালাতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে শ্রীলংকা সরকার। কিন্তু কর্মকর্তারা জানান, বাইরের কোনো শক্তির সহায়তা ব্যতিত তাদের পক্ষে এই হামলা চালানো সম্ভব নয়।
হামলার দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল এর দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। শ্রীলংকা সরকারও জানায়, আইএস এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু আইএস বা শ্রীলংকা সরকার কোন পক্ষই তাদের দাবির পক্ষে প্রমাণ সরবরাহ করেনি। প্রমাণ না থাকায় স্থানীয় সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করতে পারছে না স্থানীয় পুলিশ। এমতাবস্থায় নিজের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করলের প্রেসিডেন্ট।স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শ্রীলংকায় ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে আরও হামলা হতে পারে। দেশটির ২৬ বছর মেয়াদী এক গৃহযুদ্ধ শেষের এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা ছিল এটি।
এক বিবৃতিতে শ্রীলংকায় ভ্রমণরত মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি স্কুল-পড়ুয়া শিশু রয়েছে এমন সকল মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের শ্রীলংকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া, ভারত ও ব্রিটেনও তাদের নাগরিকদের শ্রীলংকায় ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে মুসলিমদের এখন থেকে শুক্রবারের নামাজ বাড়িতে আদায়ের আহ্বান জানিয়েছে শ্রীলংকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মুসলিমদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা বা গাড়িবোমা হামলা হতে পারে
উল্লেখ্য, হামলার পরপরই খবর প্রকাশিত হয় যে, এই হামলার বিষয়ে শ্রীলংকাকে আগ থেকেই সতর্ক করেছিল ভারত। এরপরও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ। হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানকে পদত্যাগের আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু পুলিশ প্রধান তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
হামলার পর থেকে দেশজুড়ে কঠোর অভিযান চালাচ্ছে শ্রীলংকা পুলিশ। এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা হামলার ঘটনায় আইএস সংশ্লিষ্ট ১৪০ ব্যক্তিকে খুঁজছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট