চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আজ মোদির শপথ গ্রহণ: আমন্ত্রিত ৮ হাজার অতিথি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ মে, ২০১৯ | ১:২২ অপরাহ্ণ

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় টানা দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী।  ৮ হাজারেরও বেশি অতিথি আমন্ত্রিত মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রিত বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান— বিমস্টেকের সব দেশের প্রতিনিধিরা।

সন্ধ্যা ৭টায় রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাকে শপথ পাঠ করাবেন। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও শপথ নেবে।

রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে এটা। ভারতের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বিদেশি রাষ্ট্রনেতা, হবু মন্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের ১০ জন করে সদস্য, সমস্ত নতুন সাংসদও আমন্ত্রিত এই অনুষ্ঠানে। অতিথির তালিকায় আরএসএস নেতা, শিক্ষাবিদ, চিত্রতারকা, শিক্ষা ও ক্রীড়া জগতের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বও রয়েছেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রথমে যোগদানের কথা জানালেও পরে বেঁকে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা যোগ না দিলেও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী যোগ দিচ্ছেন।

নরেন্দ্র মোদি ছাড়া আর কারা আজ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে গত মঙ্গলবার দলীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে টানা পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন মোদি। এই দুই নেতা ছাড়া কারা মন্ত্রী হবেন, সে বিষয়ে বিজেপির কেউ নিশ্চিত নন। তবে বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দিয়েছেন, শারীরিক কারণে তাঁর পক্ষে মন্ত্রিসভায় গুরুদায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। তাঁরই মতো কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। তিনিও এবার ভোটে দাঁড়াননি। তবে জেটলির মতো তিনি চিঠি লিখে জানাননি যে মন্ত্রী হতে চান না। কোনো কারণে সুষমা মন্ত্রী না হলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে স্মৃতি ইরানীর নাম।

সবচেয়ে বড় জল্পনা অবশ্য অমিত শাহকে নিয়ে। তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলে তাঁরই কোনো ঘনিষ্ঠকে দলের দায়িত্বে আনা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জগৎ প্রতাপ নাড্ডা, ভূপেন্দ্র যাদব ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের নাম শোনা যাচ্ছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশ নতুন মন্ত্রিসভায়ও থাকবেন।

কারা কারা মন্ত্রী হচ্ছেন, আজ সকালেই তা চূড়ান্ত হবে। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদি বলেছিলেন ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স’। এই স্লোগান সত্ত্বেও সরকারের বহর কমানো তাঁর পক্ষে সম্ভবপর হয়নি। এবারও যে তা হবে, তেমন মনে করার কানো কারণ নেই।

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট