চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

করোনার জীবনরক্ষাকারী প্রথম ওষুধ ডেক্সামেথাসোন

করোনার জীবনরক্ষাকারী প্রথম ওষুধ ডেক্সামেথাসোন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ জুন, ২০২০ | ৮:০২ অপরাহ্ণ

‘ডেক্সামথাসোন’ নামে সস্তা ও সহজলভ্য একটি ওষুধ করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। করোনায় আক্রান্ত ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হওয়া রোগীর জীবন বাঁচাতে ডেক্সামেথাসোন অত্যন্ত কার্যকর বলে দেখা গেছে। তবে মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ গবেষণাটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক চালিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় ২ হাজার করোনা রোগীর শরীরে ডেক্সামেথাসোন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। এর থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি কমে আসে ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে। আর যেসব রোগীর অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হয়, সেসব রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে কমে আসে। এই ওষুধ নিয়ে পুরো বিশ্বে সর্ববৃহৎ যে ট্রায়াল বা পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল তার অংশ হিসাবে দেখা হচ্ছিল এই ওষুধ করোনার চিকিৎসায়ও কাজ করবে কিনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত প্রতি ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। আবার যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হন, তাঁদের মধ্যেও অধিকাংশই সুস্থ হয়ে যান। তবে কারও কারও অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশন-সুবিধার প্রয়োজন হয়। এই উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই উপকারী হিসেবে পাওয়া গেছে ডেক্সামেথাসোনের নাম। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই স্বল্প মাত্রার স্টেরয়েড চিকিৎসা একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার।

গবেষকরা অনুমান করছেন, যুক্তরাজ্যে প্রতিদিনের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারের খরচ প্রায় সাড়ে পাঁচ পাউন্ড। ফলে যখন করোনা মহামারি শুরু হয় তখন থেকেই যদি এই ওষুধ ব্যবহার করা সম্ভব হতো তাহলে বাঁচানো যেত প্রায় পাঁচ হাজার পর্যন্ত প্রাণ। কারণ এই ওষুধ খুবই সস্তা ও সহলভ্য।

তারা বলছেন, কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে এই ওষুধ বিশালভাবে কাজে লাগতে পারে। যেসব দেশ করোনা রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে এটা তাদের জন্য বিশাল সুখবর বলেও জানান তারা।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট