চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উত্তর কোরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র কর্মসূচি জাতিসংঘ প্রস্তাবের লঙ্ঘন, বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ মে, ২০১৯ | ৮:৫৪ অপরাহ্ণ

উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ং-এর গণবিধ্বংসী অস্ত্র কর্মসূচিকে জাতিসংঘ প্রস্তাবের লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মর্গান আর্তাগুজ। তিনি বলেন, পিয়ংইয়ং-এর এ সংক্রান্ত কর্মসূচি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার লঙ্ঘন।

 মর্গান আর্তাগুজ বলেন, উত্তর কোরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) কর্মসূচি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যুক্তরাষ্ট্র আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এর ইতি টানতে আগ্রহী। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

এদিকে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-এর সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অব্যবস্থাপনার কারণে সেখানকার মানুষ মৌলিক প্রয়োজন মেটাতেও হাসফাঁস করছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশত্যাগ করা ২১৪ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি ‘অধিকারের মূল্য’শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া।

২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা নির্বাচিত হন কিম জং উন। তার আগে থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে দেশটি। জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদনে কিম সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করে দেশটি। তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগরিকদের খাদ্য নিশ্চিতের চেয়ে সামরিক বাহিনীতে অর্থায়নকেই এখনও অগ্রাধিকার দেয় দেশটি।

কর্মকর্তাদের ঘুষের দাবি মেটাতে গিয়ে নাগরিকদের টিকে থাকাও কঠিন হয়ে উঠছে। ১৯৯০-এর দশকে রাষ্ট্রীয় বিতরণ ব্যবস্থার পতনের পর প্রাত্যহিক রেশন আর পর্যাপ্ত না হওয়ায় দেশটির তিন-চতুর্থাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক বাজারে প্রবেশে বাধ্য হয়েছে। দেশত্যাগকারী এক নাগরিক বলেন, ‘আপনি যদি কেবল রাষ্ট্রের নির্দেশ মেনে চলেন, তাহলে আপনাকে না খেয়ে মরতে হবে।’

এই অনানুষ্ঠানিক বাজারের বৈধতা না থাকায় নাগরিকদের কাছে ঘুষ দাবি কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব নাগরিক এই বাজার থেকে অর্থ আয় করতে চান, তারা গ্রেপ্তার ও আটকের মুখে পড়েন। দেশত্যাগকারী আরেক উত্তর কোরীয় নাগরিক বলেন, যার কাছে কোন কিছু আছে, তা ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা পর্যন্ত করা হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট