রোজায় বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় খাবার ছোলা। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি খাবার। আমিষের একটি ভাল উৎস। শুধুমাত্র শর্করা, আঁশ বা প্রোটিন হিসেবে নয়, বেশ কিছু ভিটামিন এবং মিনারেলের উৎস রয়েছে ছোলায়। এটি পরিপূর্ণ খাবার হিসেবেও খেতে পারেন।

রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলো ছোলা। কারণ ছোলাতে রয়েছে প্রচুর আমিষ যা সারাদিন রোজা রাখার ঘাটতি সহজেই পূরণ করে ফেলে। তা’ছাড়া ছোলা দেহকে দৃঢ় ও শক্তিশালী করে, হাড়কে করে মজবুত এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য ছোলা বেশ কার্যকরী পথ্য হিসেবে কাজ করে। কারণ আঁশ শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি পুষ্টিকর ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজের চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রন। এতে অধিক পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে যা রক্তে উপস্থিত গ্লুুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ছোলা খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা খুব ধীরে ধীরে বাড়ে। এই জন্য ডায়াবেটিক রোগীদের ছোলা খাওয়া ভাল। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এর তেল বেশির ভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এই তেল শরীরের অপ্রয়োজনীয় খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। শর্করা আমিষ এবং তেল ছাড়াও ছোলায় অনেক উপকারী ভিটামিন ও খনিজ লবণ রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করে ছোলা। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে যা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ফলিক এসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে এজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

পূর্বকোণ/পিআর