চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করা কমায় তরমুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১০ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:২৫ অপরাহ্ণ

গ্রীষ্মকালের অন্যতম জনপ্রিয় ফল তরমুজ। গ্রীষ্মকাল আসার সাথে সাথেই বাজারে তরমুজের মেলা বসে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি তরমুজে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত পানি রয়েছে। অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এ ফলটি পুষ্টির আধার। এতে আছে ভিটামিন এ এবং সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ। আমরা সাধারণত তরমুজের ভেতরের লাল অংশটা খেয়ে থাকি।

কিন্তু অনেকেই হয়তো জানিনা শুধু তরমুজের ভিতরের অংশে নয়, তরমুজের খোসাতেও অনেক বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। তরমুজের খোসার মধ্যে থাকা সিট্রুলিন শরীরচর্চা করার জন্য প্রচুর শক্তি যোগায়। সিট্রুলিন রক্তনালীর প্রসারণকে উন্নত করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সিট্রুলিন পেশীগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে। যার ফলে ব্যায়ামে ভালো মনোযোগ আসে। রক্তচাপ কমাতে তরমুজ ও এর খোসা উপকারী। গবেষণা অনুযায়ী, তরমুজের নির্যাস সম্পূরক অংশ মোটা লোকদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে সক্ষম। সিট্রুলিন সাপ্লি-মেন্টস হাইপারটেনশন রোগীদের রক্তচাপ হ্রাস করে। তরমুজের খোসার আরেকটি উপকারিতা হলো, এটি ফাইবারের ভালো উৎস। ফাইবার নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি বজায় রাখতে সহায়তা করে।

এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। তাই মানবদেহে ফাইবারের মাত্রা বাড়াতে তরমুজের খোসা খেতে পারে। এক কাপ তরমুজ খোসার মধ্যে ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি রয়েছে। যা মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভিটামিন-সি শ্বেত রক্ত ​​কোষের উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করে। এতে শরীরে সংক্রমণ হয় না এবং ফ্রি র‌্যাডিকাল-এর থেকেও বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজের সবুজ অংশ ভায়াগ্রার ন্যায় কাজ করে। ইরেক্টিল ডিসফাংশন (লিঙ্গ শিথিলতা) রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করে এটি। এছাড়া ব্যায়াম করার আগে তরমুজের সবুজ অংশ খাওয়া উত্তম। এটি সালাদের ন্যায় খেলেই বেশি উপকার মিলবে। তরমুজের বাইরের আবরণ ফেলে দিয়ে সবুজ অংশটুকু কেটে নিয়ে বিভিন্ন সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট