বর্ষার অন্যতম ফল লটকনে সয়লাব এখন বাজার। টক-মিষ্টি এই ফলের স্বাদ অনেকেরই দারুন পছন্দ। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না ফলটির রয়েছে দারুণ কিছু ঔষধি গুণ।
লটকন দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিক চাষ হয়। এটি সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করা হয়। এর ছাল থেকে রঙ তৈরি করা হয় যা রেশম সুতা রাঙাতে ব্যবহৃত হয়।
পানি, প্রোটিন, আঁশ, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে লটকনে। এছাড়া আছে এমাইনো এসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় সহায়তা করে।
এছাড়া্ও লটকনের রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যগুণ-
লটকনে প্রচুর পানি থাকে যা শরীরকে ডিহাইড্রেট হ্ওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়া্ও তৃষ্ণা নিবারণের জন্য খেতে পারেন লটকন।
লটকনে প্রচুর আঁশ রয়েছে। যা হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করতে সাহায্য করে।
লটকনে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান। নিয়মিত খাদ্যতালিতায় এই ফল রাখুন।
লটকন খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে অতিরিক্ত সুগার নেই, তাই যতই খান না কেন শরীরে ব্লাড সুগার মাত্রা বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
শরীরের বিভিন্ন চর্মরোগে প্রতিকারে শক্তিশালী উপাদান হিসেবে বিবেচিত লটকন। এই ফল খোস পাঁচড়া, কেবিস, দাদ প্রতিকারে বেশ কার্যকারী।
লটকন ফল শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। এতে পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন রয়েছে যা খা্ওয়ার পর পরই শরীরে বল পা্ওয়া যায়। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লটকন রাখলে সারাদিন কর্মক্ষম থাকবেন।
এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনেরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ। এ ফল মুখের রুচি বাড়ায়। তবে এ ফল বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। তাতে ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
পূর্বকোণ/এএ