কোনোভাবেই যেন সূচকের পতন ঠেকানো যাচ্ছে না পুঁজিবাজারে। দেশীয় দুই পুঁজিবাজারেই গেল দুই সপ্তাহ ধরে টানা পতন ঘটেছে সূচকের। এরমধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৩২ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।
অন্যদিকে অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ- সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই’র পতন ঘটেছে ৫৫২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। টানা পতনে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে বিনিয়োগকারীদের। পুঁজিবাজার ইতিবাচক ধারায় ফেরার কোনো সম্ভাবনা না দেখায় আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন তারা। গেল দুই সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ৯ কার্য দিবস। এই সময়ে দুই পুঁজিবাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
দুই সপ্তাহ আগে ১৩ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন শুরুর সময় মোট মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। দুই সপ্তাহ পর দেশের প্রধান এই পুঁজিবাজারের মূলধন অবস্থান করে ৮ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা কমে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকায়। একই সময়ে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩২ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৭২ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অন্যদিকে ১৩ এপ্রিল লেনদেন শুরুর সময় সিএসইতে মোট মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। দুই সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ৭১০ কোটি টাকা কমে বাজারটির মূলধন নেমেছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায়। একই সময়ে ৫৫২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৯৫৬ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গেল সপ্তাহে মোট ৩৯৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট শেয়ার লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছে বাজারটিতে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৫৭টির, কমেছে ৩২৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। নীতিগত স্থবিরতা, দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের অভাব এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ প্রক্ষেপণ মিলিয়ে বাজারে সৃষ্টি হয়েছে এক কঠিন বাস্তবতা। এখনই দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগ না নিলে বাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা।
পূর্বকোণ/ইব