চীনা আমদানি পণ্যের ওপর মার্কিন প্রশাসনের ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত একই বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, অযথা সংকট ঘনীভূত করার পরিবর্তে আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চীনের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া মার্কিন শুল্ককে চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারস্থ হবে তারা। এটি মূলত প্রতীকী একটি পদক্ষেপ। এছাড়া, শুল্ক বৃদ্ধির জবাবে তারাও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। যদিও তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার কানাডা ও মেক্সিকোর আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা আমদানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তাদের ভূখণ্ডে ক্ষতিকর রাসায়নিক ফেন্টানিলের সরবরাহ রোধে বেইজিংয়ের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রবিবার ফেন্টানিল বিষয়ে সবচেয়ে কড়া জবাব দিয়েছে চীন। বাইডেন প্রশাসনও এই রাসায়নিক তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান রফতানি নিয়ন্ত্রণে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা। তাদের সঙ্গে মাদক প্রতিরোধে বেইজিং যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে এবং উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করেছে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কানাডা ও মেক্সিকো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানালেও এখন পর্যন্ত কিছুটা নমনীয় আচরণ করেছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ট্রাম্পের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনের লঙ্ঘন। শুল্ক আরোপের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ