চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এসডিজি: ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

১৫ জুন, ২০২১ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি অভীষ্টে কাঙ্ক্ষিত অর্জন না হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৬৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম।

এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে চারটি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সঠিক পথে ও ছয়টি অভীষ্ট অর্জনে বাংলাদেশ পরিমিত রূপে উন্নতি করেছে। এসডিজির তিনটি অভীষ্ট অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত ও দুটির মূল্যায়নের জন্য উপাত্তে ঘাটতি রয়েছে।

সোমবার (১৪ জুন) ২০২১ সালের জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৭ সালের সূচকে ১৫৭টি দেশের মধ্যে ১২০তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। ২০২১ সালের প্রকাশিত এসডিজি সূচকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। 

২০১৫ সালে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা (এসডিজি) হাতে নেয়। এর লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্যে দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতেও বলা হয় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে দারিদ্র্যতা দূরীকরণ, সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, সুস্বাস্থ্য, উন্নত শিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য প্রতিরোধ অন্যতম। তবে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৫৭টির তথ্য এবারের প্রতিবেদনে এসেছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোই এসব লক্ষ্য পূরণের পথে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। আর ২০১৫ সালের পর থেকে এসডিজি সূচকে স্কোরের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ, কোত দি ভোয়া (আইভরি কোস্ট) এবং আফগানিস্তান।

এসডিজি সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর এবার একশর মধ্যে ৬৩.৫। গতবছর এ স্কোর ছিল ৬৩.২৬, তার আগের বছর ছিল ৬৩.০২। যে বছর এসডিজি গৃহীত হয়, সে বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৯.০১। আর ভিত্তিবছর ২০০০ সালে স্কোর ছিল ৫৩.৪৯।

বাকি দুটি দেশের মধ্যে কোত দি ভোয়া (আইভরি কোস্ট) ৫৭.৫৬ স্কোর নিয়ে এবারের সূচকে ১৩১তম অবস্থানে রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশটির স্কোর ছিল  ৫৩.৩৫। আর ৫৩.৯৩ স্কোর নিয়ে আফগানিস্তান এবার আছে সূচকের ১৩৭তম অবস্থানে। এসডিজির শুরুর বছরে দেশটির স্কোর ৪৯.৬৩ ছিল।

এবারের তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা ফিনল্যান্ডের স্কোর ৮৫.৯ এবং সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের স্কোর ৩৮.২৭। বিগত বছরগুলোতে স্কোরের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি অবনমন ঘটেছে ভেনেজুয়েলা, টুভালু ও ব্রাজিলের। 

এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ১২ নম্বরে পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদনধরন নিশ্চিত করা আর ১৩ নম্বরে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পূরণ করে ফেলেছে। সূচকের এ দুটি অবস্থানে তাই বাংলাদেশের রঙ সবুজ। ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে কেবল এসডিজি-১৫ তে বাংলাদেশের অবস্থার অবনতির তথ্য দেওয়া হয়েছে এবারের সূচকে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এবারের সূচকে ভুটানের অবস্থা সবচেয়ে ভালো। ৬৯.৯৮ স্কোর নিয়ে হিমালয়ের এ দেশটির অবস্থান সূচকের ৭৫ নম্বরে।

৮৫.৯ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। শীর্ষে পাঁচে থাকা অপর দেশগুলো হলো সুইডেন (৮৫.৬), ডেনমার্ক (৮৪.৯), জার্মানি (৮২.৫) ও বেলজিয়াম (৮২.২)।

দক্ষিণ এশিয়ায় ৭৫তম স্থানে রয়েছে ভুটান (৭০), ৭৯তম মালদ্বীপ (৬৯.৩), ৮৭তম শ্রীলঙ্কা (৬৮.১), ৯৬তম নেপাল (৬৬.৫), ১২০তম ভারত (৬০.১), ১২৯তম পাকিস্তান (৫৭.৭) এবং ১৩৭তম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান (৫৩.৯)।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট