চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৮ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:০৮ অপরাহ্ণ

আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি বিলের উপর উৎসে কর কর্তনের বর্তমান হার দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পূর্বের ন্যায় দশমিক ২৫ শতাংশ করা, নগদ লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাত ও কোম্পানি খাতে নগদ লভ্যাংশ প্রাপ্তিকে কর অব্যাহতি আয় হিসাবে গণ্য করা, সুনির্দিষ্ট অডিট নীতিমালা প্রণয়ন এবং ব্যক্তি খাতে নিট সম্পত্তির উপর প্রতি বৎসর ১০ থেকে ৩০ শতাংশ হারে সারচার্জ ১ বা ২ শতাংশ করা দাবি জানাচ্ছি।

আগামী নতুন অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো এসব দাবিসহ মোট ৩০ দফা দাবির প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসায়ীদের মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণে একটি গ্রহণযোগ্য ও ব্যবসা বান্ধব বাজেট পেশের দাবি করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত করদাতার সারচার্জ আরোপের সম্পদসীমা বর্তমানে ৩ কোটির পরিবর্তে ৫ কোটি টাকার অধিক সম্পদশালী করদাতার করের উপর সারচার্জ রাখার দাবি জানাচ্ছি। বন্দরের প্রায় ৪ ভাগের ১ ভাগ জায়গা অকশন কনটেইনারের দখলে থাকে। এনবিআরকে দ্রুত এসব কনটেইনারের ব্যবস্থা করতে হবে।

দেশীয় কৃষি পণ্যসহ স্থানীয় উৎপাদনকারীকে মৌসুমী সুরক্ষা দিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানোর  অগ্রযাত্রা সময়ের দাবি। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সাথে সাথে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র এবং অনলাইনে কর প্রদান সার্টিফিকেট দেয়ার নিয়ম চালু সময়ের দাবি। স্ব-প্রণোদিত কর প্রদানের সীমা ৩ লাখের পরিবর্তে ৪ লাখ এবং প্রবীন করদাতার বেলায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছি। পুরানো করদাতার উপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর পরিবর্তে নতুন করদাতা সনাক্তকরণ এবং ৫০ শতাংশ টিআইএনধারী কর প্রদান না করার বিষয়টি নিয়মিত তদারকীর দাবি জানাচ্ছি। কর্মরত কয়েক লক্ষ বিদেশীদের মাঝে মাত্র কয়েক হাজার করদাতা রয়েছে।

ফলে তাদের বেতন বাবদ বছরে আনুমানিক ৪-৫ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই বিদেশী নাগরিক নিয়োগে নিরুৎসাহিত করতে নিয়োগদাতার উপর বিশেষ করারোপ, সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে স্থানীয় দক্ষ জনবল নিয়োগের বাধ্যবাধকতাসহ বিশেষ পদক্ষেপ সময়ের দাবী। স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যের চাইতে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক কম হওয়ার কারণে স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তাই স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার নুতন কৌশল প্রয়োগ করা গেলে আমদানী নির্ভরতা কমবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ল্যাবরেটরি একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃত। তাই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বর্তমান ল্যাবকে বিলুপ্ত করে নতুন ল্যাব স্থাপন, আধুনিক যন্ত্রপাতি, মানসম্মত আসবাবপত্র, দক্ষ জনবল নিয়োগ করে সমস্যা সমাধানে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করার অনুরোধ করছি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট