চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সুন্দরবনে বাঘ আর মাত্র ১১৩টি : বন বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০১৯ | ৮:২৮ অপরাহ্ণ

বিশ্বের ৩২টি দেশ থেকে পাচারের জন্য গত ১৮ বছর ধরে ২ হাজার ৩শ ৫৯টি বাঘ শনাক্ত করার ঘটনায় ৫১টি বাঘ বাংলাদেশের বলে উঠে এসেছে এক জরিপে। যুক্তরাজ্যের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রাফিক ইন্টারন্যাশনাল ‘স্কিন এন্ড বোনস আনরিজলভড’ শিরোনামে বুধবার (২১ আগস্ট) এ গবেষণা প্রতিবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত ট্রাফিকের ভাষ্যমতে, গত ১৯ বছরের প্রতি বছর হারিয়ে যায় ১২০টি বাঘ।

ট্রাফিকের গবেষণায় আরো দেখা যায়, ভারতে বাঘের সংখ্যা ২ হাজার ৯শ ৬৭টি। দেশটি বাঘের পাচার ও অবৈধ বাণিজ্যেও শীর্ষে আছে বলেও দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণার সময়কালে ভারতের ৪শ ৬৩টি পাচারের ঘটনা থেকে ৬শ ২৫টি বাঘ শনাক্ত করা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৩৩টি ঘটনা থেকে ৫১টি বাঘ চিহ্নিত করার কথা জানাচ্ছে ট্রাফিক।

ট্রাফিকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ এশীয় অঞ্চলের ১৩টি দেশের বাঘ পাচারের চিত্র উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় কখনও মিলেছে বাঘের আস্ত দেহ, কখনও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে বাঘের চামড়া; আর ২৯ শতাংশ ঘটনায় আস্ত দেহ যার মধ্যে ১৫ শতাংশ ছিল মৃত বাঘ। বাঘের আস্ত দেহ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধারের ঘটনা দিয়ে অবৈধ পাচারের পুরো চিত্রটি যে বোঝা সম্ভব নয় তাও জানাচ্ছে সংস্থাটি। তবে প্রতিবেদনে তথ্যও রয়েছে বাঘ পাচারকারী ও হত্যাকারীদের ধরা পরারও। মোট এক হাজার ১শ ৬৭ জন আটক হয় মোট ৫শ ৯১টি ঘটনায়। এর মধ্যে আটকের শুধু ৩৮ শতাংশই ঘটনা ভারতের।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জরিপ চালিয়ে বন বিভাগ ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার পাওয়া যাওয়া কথা এ বছরের মে মাসে জানায়। এর তিন মাসের মাথায় মাত্র দুই দিন আগে সুন্দরবনের ছাপড়াখালী এলাকা থেকে এক বাঘিনীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের এই বাঘিনীর বার্ধক্যজনিত মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

 

 

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট