সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের অমানবিক বন্দুকহামলা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে। তার পরপরই বিশ্বকে দেখতে হয়েছে শ্রীলংকায় আরো একটি বর্বরোচিত বোমা হামলা। তারপর বাংলাদেশ। মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গিরা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। স্থানীয়দের সচেতনতায় এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রচেষ্টায় তা প্রতিহত করা হয়। এই ধরনের অঘটন ঘটে যাওয়ার পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা যায়। হয়তোবা দোষীদের শাস্তির আওতায়ও আনা যায়। প্রদান করা যায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। কিন্তু ফিরিয়ে আনা যায় না হারিয়ে যাওয়া প্রাণগুলো। ফিরিয়ে দেয়া যায় না পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে, যার উপর নির্ভর করে চলতো গোটা পরিবার। ফিরিয়ে দেয়া যায় না নিষ্পাপ শিশুর আকাক্সিক্ষত বাবাকে। পরিত্রাণ দেয়া যায় না আপনজনদেরকে স্বজন হারানো শোক থেকে। জঙ্গি সংগঠনগুলো কোন না কোন জায়গায় অবস্থান করে তাদের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্থানীয় জনগণ সচেতন হলে এই ধরনের কার্যক্রম রুখে দেয়া সম্ভব। আশেপাশে কারোর অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইনফর্ম করতে হবে। এতে বেঁচে যাবে দেশের অর্থনীতিসহ অনেক মানুষের প্রাণ।
রিফাত মাহদী
শিক্ষার্থী, সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়