চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র গঠন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ দর্শন

প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

১২ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:০৩ পূর্বাহ্ণ

বাঙালি জাতি-রাষ্ট্রের মহান স্থপতি বাঙালির বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিব। মহাকালের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। রাজনীতির সূচনালগ্ন থেকেই দেশপ্রেমের আদর্শিক চেতনায় পরিপুষ্ট স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জীবনের সকল সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিহার করে নিরলস ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়েছেন। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের কঠিন কালপরিক্রমায় যে সত্যাগ্রহ, নির্লোভ-নির্মোহ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন; তার মূলে ছিল স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতিমুক্ত শোষণহীন মানবিকসমাজ প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত।

আমাদের সকলের জানা যে, ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই ঢাকার মূকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সম্মেলনে শুধু দলের প্রথম গঠনতন্ত্র গৃহীত হয়নি, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কার্যকরী কমিটিও অনুমোদিত হয়। ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রাক্কালে ১৯৫৪ সালের মার্চ মাসে পূর্ব বাংলায় সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার অব্যবহিত পরে ১৯৫৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে জনাব এ. কে. ফজলুল হক ঢাকা হাইকোর্টে এডভোকেট জেনারেলের পদে ইস্তফা দিয়ে মুসলিম লীগে যোগদান করেন।
‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে জনাব এ. কে. ফজলুল হক চাঁদপুরের এক জনসভায় আওয়ামী লীগে যোগদান করে ঘোষণা করলেন, “যাঁরা চুরি করবেন তাঁরা মুসলিম লীগে থাকুন, আর যাঁরা ভাল কাজ করতে চান তাঁরা আওয়ামী লীগে যোগদান করুন।” পরবর্তীতে রাজনৈতিক অনেক মতানৈক্যের পালাবদলে যুক্তফ্রন্টে যোগ দিয়ে নির্বাচন করার সিন্ধান্তের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু মওলানা ভাসানীকে বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করবে, ভয়ের কোনো কারণ নাই। আর যদি সংখ্যাগুরু না হতে পারি আইনসভায় আওয়ামী লীগই বিরোধী দল হয়ে কাজ করবে। রাজনীতি স্বচ্ছ থাকবে, জগাখিচুড়ি হবে না। আদর্শহীন লোক নিয়ে ক্ষমতায় গেলেও দেশের কাজ হবে না। ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার হতে পারে।”

আদর্শহীন অনৈতিক ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কোন দল সংঘটিত হলে সেটি দেশের বা দেশের জনগণের মঙ্গলের পরিবর্তে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তি কল্যাণ বা স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকবে- বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনে সেটিই বার বার প্রতীয়মান হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র-সমাজ দর্শনের যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ, তা হল ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সামগ্রিক আপামর জনগণের কার্যকর মঙ্গল সাধন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালবাসে, কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।’
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শি রাষ্ট্র-সমাজ চিন্তা-চেতনা বরাবরই জনগণের সুখ-সমৃদ্ধির লক্ষ্যেই স্থির, যার মূলে ছিল অসাম্প্রদায়িক, সমাজতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এই জনকল্যাণমূখী রাষ্ট্র-সমাজ ব্যবস্থার টেকসই সমৃদ্ধি নিশ্চিতে দুর্নীতিকেই বঙ্গবন্ধু প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করেছেন এবং তা প্রতিরোধকল্পে প্রায় প্রতিটি বক্তব্য-ভাষণে জনগণকে এই ব্যাপারে সচেতন করেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত শাসন পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর অঙ্গীকার ছিল নিখাঁদ এবং দুর্নীতি নিধনকল্পে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা ছিল অত্যন্ত যৌক্তিক, যুগোপযোগী এবং খোলামেলা। অকপটেই তিনি এসব বিষয়কে জনগণের সম্মূখে প্রকাশ এবং এর প্রতিকারে সহযোগিতা আহবান করেছেন।

১৯৭২ সালের ৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা-উত্তর প্রথম কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বলেন, “রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়া যেতে পারে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না হলে রাজনৈতিক স্বাধীনতাও ব্যর্থ হয়ে যায়। কেবল আওয়ামী লীগের সরকার হলে চলবে না। সঙ্গে সঙ্গে জনগণেরও সরকার। সাড়ে সাত কোটি মানুষ, মানুষের সরকার। এটা সম্বন্ধে পরিষ্কার থাকা দরকার। আপনাদের কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। বিরোধী দলে থাকা এক রকমের পন্থা, আর সরকারের পক্ষে রাজনীতি করা অন্য রকম পন্থা এবং সেখানে গঠনমূলক কাজের দিকে মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে, অত্যাচার যেন না হয়। জুলুম যেন না হয়, লুটপাট যেন না হয়।”
বঙ্গবন্ধু আরো বলেছেন, “দেশের মানুষকে সেবা করে মন জয় করতে হবে। তোমাদের কাছে আমার নির্দেশ, তোমাদের কাছে আমার আবেদন, তোমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, যে আমাদের কাছে রাতের আরাম, দিনের বিশ্রাম হারাম, আমাদের কাজ করতে হবে। দুঃখির মুখে হাসি ফোটাতে হবে। ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ জন্মগ্রহণ করে নাই। বাংলাদেশে শোষণহীন সমাজ গঠন করার জন্যই আওয়ামী লীগ জন্মগ্রহণ করেছে। শোষণহীন সমাজ গড়ে তুলতে হবে। লোভের উর্ধ্বে উঠতে হবে। লোভ যেখানে ধ্বংস সেখানে। একবার যদি কেউ লোভী হয়ে যান, সে জীবনে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। শুধু আপনার মুখে কালি দেবেন না, কালি দেবেন সেই সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুখে। যেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ সব স্বাধীন হয়েছে।”

১৯৭২ সালে মহান মে দিবসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “গুটিকয়েক সুবিধাবাদী ব্যক্তিগোষ্ঠী জাতীয় সম্পদ ও শ্রমজীবী মানুষের উৎপাদন নিজেদের কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দেশ আজ স্বাধীন। সম্পদের মালিক জনগণ। তাই কোনো শ্রেণীবিশেষের ভোগ-লালসার জন্য এবং লোভ চরিতার্থ করার নিমিত্ত এই সম্পদকে অপচয় করতে দেয়া হবে না।” ১৯৭২ সালে ৯ই মে রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আপনারা জানেন, জীবনে আমি কোনদিন মিথ্যা ওয়াদা করি না। আমি জীবনে প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজনীতি করিনি। একদিকে ছিল আমার প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসন আর একদিকে ছিল আমার ফাঁসির ঘর। আমি বাংলার জনগণকে মাথা নত করতে দিতে পারি না বলেই ফাঁসিকাষ্ঠ বেছে নিয়েছিলাম। সমাজতন্ত্র ছাড়া বাংলার দুঃখি মানুষ বাঁচতে পারে না। সেইজন্য সমাজতন্ত্র কায়েম করার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি।”
ঘুষ-সুদখোর, মজুতদার, চোরাকারবারী, চোরাচালানী, অন্যের জমি-বাড়ি দখলদারদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কঠোর ভাষায় শুধু সাবধান করেননি, তাদের আইনের আওতায় আনার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন বহুবার। ১৯৭২ সাল ঐতিহাসিক ৭ই জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, যারা শহরে সরকারি বাড়ি, গাড়ি দখল করে আছ, যারা দোকান বা অন্যের জমি দখল করে আছ, যারা মজুদ করছো, জিনিসপত্র বিক্রয় করছো না, জিনিসের দাম বাড়াবার চেষ্টা করছো, তাদের রেহাই নাই। আমি ভিক্ষা করে দুনিয়ার নানা দেশ থেকে জিনিসপত্র আনছি আমার গরীব দুঃখিদের জন্য। সেই জিনিস যারা লুটপাট করে খাচ্ছো, তাদেরও রক্ষা নাই।”

সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু স্বভাবসুলভ সাবলীল ভঙ্গিতে সোনার মানুষ সন্ধানে অবিচল এবং প্রায়শঃ এই দেশের নির্লোভ, নির্মোহ ও ত্যাগী ব্যক্তিদের উজ্জিবীত করার নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রেখেছিলেন। ১৯৭২, ৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু কুমিল্লায় এক জনসভায় বলেছিলেন, “সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ পয়দা করতে হবে। এই চাটার চাটার অভ্যাস ত্যাগ কর। চাটার গোষ্ঠীর জ্বালায় আমি তিতে হয়ে গেলাম। এই চাটার গোষ্ঠীকে আমি বার বার ওয়ার্নিং দিচ্ছি। চাটার গোষ্ঠী আমার দলেই হোক, অন্য দলেই হোক, অন্য জায়গাওই হও, তোমাদের আমি ক্ষমা করতে পারবো না। আল্লাহ্ও ক্ষমা করবে না।”

দুর্নীতি দমন এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণে অনেক ক্ষেত্রে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের যোগসাজসে নিরাপরাধ নিরীহ সৎ ব্যক্তিদের চরিত্রহনন, হয়রানি ও মিডিয়া অপকৌশলের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কুৎসিত প্রচেষ্টা সম্পর্কে ১৯৭২ সালের ১৬ই জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অবিস্মরনীয়। তিনি গণমাধ্যমের অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে এই ধরণের কর্মযজ্ঞকে ‘ভীতি প্রদর্শন’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন এবং কীভাবে গুটিকয়েক সংবাদমাধ্যমের হাতেগোনা কতিপয় অর্থলিপ্সু সম্পাদক বা সাংবাদিক পুরো গণমাধ্যমকে কলুষিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করেছেন।
তিনি বলেছিলেন, “কোনো সাপ্তাহিক বা সান্ধ্য দৈনিকে কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা লিখে তাকে বলা হতো, টাকা দাও, নইলে আবার তোমার বিরুদ্ধে লেখা হবে। তখন সত্যি সত্যিই টাকা দিয়ে সে কাগজের মুখ বন্ধ করা হতো। আমি লক্ষ্য করছি এখানেও এই ধরনের একটা প্রবণতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আরও দেখা যাচ্ছে, যার আয়ের কোনো প্রকাশ্য উৎস নাই, সেও দৈনিক কাগজ বের করছে। রাতারাতি কাগজটা বের হয় কোথা থেকে? পয়সা দেয় কে? আমি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত করেছি, ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত করেছি। এর জন্য তারা কেঁদে মরে। তাদের পয়সা আসে কোত্থেকে? আমি যদি খবর পাই যে, বিদেশীরা তাদের সাহায্য করছে এবং তখন যদি আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি তাহলেও কি আপনারা বলবেন, সংবাদপত্রের ও সাংবাদিকদের উপর অন্যায় হামলা হয়েছে?”

১৮ আগস্ট, ১৯৭৪ সাল বন্যাকবলিত জাতির উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “দেশবাসী ভাই ও বোনেরা, একটা কথা আজ আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জনগণের দুর্দশাকে মূলধন করে যারা মুনাফা লুটে সেই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবার, মজুতদার ব্যবসায়ীদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে। রিলিফ বন্টন নিয়ে কোনও ছিনিমিনি খেলা বরদাশত করা হবে না। ক্ষুধার্ত মানুষের গ্রাস যারা কেড়ে নেয় তারা মানুষ নয়, মানুষরূপী পশু। আপনারা আমার উপর আস্থা রাখতে পারেন। আমি এই পশুদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে চাই। কিন্তু জনগণের সাহায্য ছাড়া এ সম্ভবপর নয়। তাই জনগণের সাহায্য আমি কামনা করি।”

১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্রথম পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এই কথা মনে রাখতে হবে। আমি আর আপনার মৃত্যুর পর সামান্য কয়েক গজ কাপড় ছাড়া সাথে আর কিছুই নিয়ে যাব না। তবে কেন আপনারা মানুষকে শোষণ করবেন, মানুষের উপর অত্যাচার করবেন? গরিবের উপর অত্যাচার করলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে। তাই শুধু আপনারা নয়, সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে, তাদের সেবা করুন। যাদের জন্য, যাদের অর্থে আজকে আমরা চলছি, তাদের যাতে কষ্ট না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখুন। যারা অন্যায় করবে, আপনারা অবশ্যই তাদের কঠোর হস্তে দমন করবেন। কিন্তু সাবধান, একটা নিরপরাধ লোকের উপর যেন অত্যাচার না হয়। তাতে আল্লাহ্র আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠবে। আপনারা সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।”
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ-রাষ্ট্র গঠনে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে ত্রিশলক্ষ শহীদান ও দুই লক্ষ জননী, জয়া, কন্যার সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীন মাতৃভূমি।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ও করণীয় সম্পর্কে অমীয়বাণীগুলো নির্ভিক সাহসীকতায় ধারণ করে বিশ্বপরিমন্ডলে দেশ আজ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সমৃদ্ধির সূচকে অভূতপূর্ব মর্যাদায় আসীন হয়েছে। নতুন করে জাতির জনকের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে সত্য সাহসী উচ্চারণগুলো পুরো জাতিকে উদ্দীপ্ত করছে। ¯্রষ্টার অপার রহমতে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের সকল সৎ, যোগ্য, মেধাবী, ত্যাগী ও পরিক্ষিত পুরো জনগোষ্ঠীকে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে যে অভিযাত্রা শুরু করেছেন, তার সফল বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবেই – এটিই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট