চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে তরুণ লেখকদের লেখা ছাপানো প্রসঙ্গ

৫ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:১০ পূর্বাহ্ণ

পদ্য-গদ্য-ছোটগল্প-উপন্যাস ইত্যাদি এসব আমরা ছাত্র জীবনে পাঠ্যপুস্তকে পড়ে থাকি। লেখক পরিচিতি যখন পড়তে হয় অধিকতর লেখকের জন্ম সালের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু সালটাও স্ফুলিঙ্গের মত জ্বলজ্বল করে উঠে। মৃত্যু সাল যখন পড়া হয় তখন চিন্তার জগতে সূক্ষ্মভাবে কয়েকটি প্রশ্ন নাড়া দিয়ে উঠে,

১. ভাল মানের সাহিত্যিকগণ কি সবাই মারা গেছেন? ২. মারা গেলেই কি পাঠ্যপুস্তকে লেখা ছাপানো হয়? ৩. চলে যাওয়া সাহিত্যিকগণই কি লেখা ছাপানোর অগ্রাধিকারটা বেশি পান? ৪. উচ্চাঙ্গের সাহিত্য বলতে কি তাঁদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং এখন কেউ সাহিত্য রচনা করতে পারেন না?

এসব প্রশ্ন যখন মনে মনে আন্দোলিত হয় তখন বাংলা সাহিত্য বলতে মৃত্যু লেখকদের পারদর্শিতা। বিশেষ করে সমকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাহিত্যচিন্তক ও সৃজনশীল হাজারো সুকান্তের মত তরুণ লেখকদের জাদুকরী লেখা দেশীয় নানা পত্রপত্রিকায় ছাপানো হচ্ছে। যা দেশপ্রেম এবং সুশীল সমাজ বিনির্মাণে ইতিবাচক আবেদন রাখে। মূল্যবান লেখাগুলো পত্রপত্রিকায় ছাপানো হলেও জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে ছাপানোর চিন্তা কর্তৃপক্ষ করেনি। তরুণদের লেখা পাঠ্যপুস্তকে স্থান দেয়া কথাটি কৌতূহলের হলেও এটি তারুণ্যের সাহিত্যচিন্তা ও মননকে নতুনভাবে উচ্ছ্বাসিত করে তোলবে এবং স্বীকৃতি স্বরূপ সাহিত্যিক আবিষ্কারের যুগান্তকারী ভূমিকা হিসেবে কাজ করবে।

ফায়াজ শাহেদ
শিক্ষার্থী : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট