চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

রাষ্ট্রপতি আসবেন বলে…

আরাকান সড়কে দ্রুত ম্যাকাডাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এর আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতির শেষ মুহুর্তে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে প্রশাসন ও সেবা সংস্থাগুলো। নগরীর বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত আরাকান সড়কটির উন্নয়ন কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে রাতদিন টানা সড়কটি উন্নয়ন কাজ করছে ঠিকাদাররা। বিশেষ করে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে মৌলভী পুকুর পাড় পর্যন্ত সড়কের একপাশে দ্রুত ম্যাকাডাম শেষ করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এজন্য শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ধরে রাতেও কাজ করেছে।
এ প্রসঙ্গে আরাকান সড়কের বহদ্দারহাট-কালুরঘাট পর্যন্ত ছয় লেন উন্নীত করার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু ছালেহ দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে আরাকান সড়কের একপাশ ম্যাকাডামের কাজ দ্রুত শেষ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আরাকান সড়কের বহদ্দারহাট-কালুরঘাট পর্যন্ত ছয়লেনের কাজ চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সিডিএ’র জলাবদ্ধতা প্রকল্প ও পিডিবি’র ক্যাবল লাইন স্থাপনের কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্ব হচ্ছে। এ দুই সংস্থার কাজ শেষ হলে আমাদের ঠিকাদাররা কাজ শেষ করতে পারবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আরাকান সড়কের বহদ্দারহাট-কালুরঘাট পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বহদ্দারহাট মোড় থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের এক পাশ বন্ধ রয়েছে প্রায় চার বছর। ওয়াসার পাইপলাইন ও গ্যাসলাইন বসাতে এতদিন ধরে বন্ধ ছিল সড়কের এক পাশ।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ রাসেল (মদুনাঘাট) প্রকল্পের পাইপলাইন বসানোর জন্য ২০১৬ সালের শুরুতে আরাকান সড়কের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রাস্তার মোড় পর্যন্ত একপাশ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে খোঁড়াখুড়ি শুরু করে ওয়াসা। এরপর দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর ধরে ব্যস্ত সড়কে পাইপলাইন বসানোর কাজ চলে। এর মধ্যে ফ্লাইওভারের র‌্যাম নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের অক্টোবরে বহদ্দারহাট মোড় থেকে টার্মিনালমুখী সড়কের একপাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে বহদ্দারহাটমুখী যানবাহন বাস টার্মিনাল হয়ে নতুন চান্দগাঁও থানার সামনে দিয়ে চলাচল করে আসছে। ২০১৭ সালে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নবনির্মিত র‌্যাম্পটি খুলে দেওয়া হলে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে। কিন্তু এক মাস মোড়ে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলের পর ওই এক পাশে পুনরায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। মোড়ে কালভার্টে আন্ডারক্রসিং পাইপলাইন বসাতে সংস্থাটি সময় নিয়েছিল দেড় মাস। কিন্তু ওই দেড় মাসের স্থলে ২০ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো মোড়ের এক পাশ খুলে দেওয়া হয়নি। মোড়ের এক পাশ যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় চার বছর ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করছে আরাকান সড়কের যাত্রীরা। এমনকি বন্ধ থাকা সড়কের এক পাশে ব্যবসাও অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে পাইপলাইনের কাজ শেষ করে ২০১৮ সালের মে মাসে সড়কটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। সড়ক সংস্কারের জন্য ক্ষতিপূরণের টাকাও দেওয়া হয়। এরপর সড়কটি চারলেন থেকে ছয়লেনে উন্নীত করতে বড় ধরনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করে চসিক। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ৭১ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট