বাঁশখালী পৌরসভার পূর্ব জলদী পাহাড়ি এলাকায় আদর্শগ্রাম এলাকায় ছড়ার ওপর পাকা সেতু না থাকায় প্রতিদিন গাছের তৈরি সেতুর ওপর দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জলদী ছড়ার ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করলেও এখনো শুরু হয়নি টেন্ডার প্রক্রিয়া।
জানা যায়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে জলদী ছড়ার ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে তৈরি করা সেতু দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর সেতুটি ভেঙে যায়। পরে এলাকার লোকজন পাহাড়ি কাঠ দিয়ে তাদের চলাচলের জন্য সেতু তৈরি করেন। গত ২০ বছর পূর্বে বাঁশখালী পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এলাকার লোকজন জলদী ছড়ার ওপর সেতু নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি দাবিই রয়ে গেছে, সেতুটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুটির নির্মাণের জন্য পৌরসভা থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁশখালী পৌরসভার চার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলদী ছড়ার ওপর দিয়ে ৬টি গ্রামে যাতায়াত করেন। সরকারিভাবে এ ছড়ার ওপর দিয়ে নির্মিত গাছের তৈরি সেতুর ওপর দিয়ে কয়েকশ শিশু আদর্শগ্রাম স্কুলে যাতায়াত করে লেখাপড়া করে থাকেন। ঝুঁকির মধ্যে সেতু পারাপারে অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শের আলী জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য অনেকবার কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে না। সেতুর ওপর দিয়ে বয়স্ক ও শিশুরা পারাপার হতে পারে না। নিচে ছড়ার পানির ওপর দিয়ে এলাকার লোকজন গরু, ছাগল ও শিশুরা পারাপার হয়ে থাকে। বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ছড়া নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ছড়ার ওপর সেতু নির্মাণের জন্য পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ থেকে পরিমাপ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে।