চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নয় শয্যার অবজারভেশন কক্ষ চালু করছে চমেক হাসপাতাল

ষ ওয়ার্ডে ভর্তি হতে হবে না কম গুরুতর রোগীদের ষ প্রতিদিন কমপক্ষে এক শ’ রোগীর চাপ কমবে

ইমাম হোসাইন রাজু

৭ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হচ্ছে ‘অবজারভেশন কক্ষ’ যেখানে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর রোগীদের সেবা দেওয়া হবে। এতদিন কম গুরুতর রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করে কয়েক ঘণ্টার জন্য চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও এখন থেকে এ কক্ষে রাখা হবে। যার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে এক শ’ রোগীর চাপ কমে আসবে। চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের পাশেই ৯ শয্যাবিশিষ্ট এ কক্ষ চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কক্ষ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম। কাজ শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে তা উদ্বোধন করা হবে। জানা যায়, চালুর অপেক্ষায় থাকা এ ‘অবজারভেশন

কক্ষে’ পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক কক্ষও তৈরি করা হচ্ছে। এরমধ্যে পুরুষ রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে ছয়টি আর মহিলাদের জন্য তিনটি পৃথক শয্যা। এছাড়া এসব রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে ছয়জন চিকিৎসক নিয়োজিত থাকবেন। যাদের মধ্যে দুইজন মেডিকেল অফিসার রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। যারা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা রোগীদের সেবা দিয়ে যাবেন।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী- প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ শ’ রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে গড়ে আট শ’ রোগী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। আবার এই আট শ’ রোগীর মধ্যে এক থেকে দেড় শ’ রোগী কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। এতদিন এই দেড় শ’ রোগীকে ওয়ার্ডে ভর্তি দিয়ে সেবা দেওয়া হতো যার কারণে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সৃষ্টি হতো ওয়ার্ডগুলোতে। এছাড়া হিমশিম খেতে হতো চিকিৎসক ও স্বজনদের। তবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর এসব রোগীকে ‘অবজারভেশন কক্ষে’ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হলে প্রতিদিন এক শ’ রোগীর চাপ কমে আসবে। একই সাথে রোগীর স্বজনদেরও (এটেনডেন্ট) চাপ কমবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ পূর্বকোণকে বলেন, এ কক্ষ চালু হলে সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন এক শ’ রোগীর চাপ অনেকাংশেই কমে যাবে। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনাসহ প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিতে আসাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভর্তি করাতে হবে না। যাদের মধ্যে অধিকাংশ রোগীই কয়েক ঘণ্টা সেবা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে এখন থেকে এমন রোগীদের এই কক্ষে রেখে সেবা দেওয়া হবে। তাহলে হাসপাতালের ওয়ার্ডে বর্তমানে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তা কমে আসবে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট