চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

রোহিঙ্গা ভোটার ও এনআইডি জালিয়াতি

জয়নালের বাড়িতে দুদকের তদন্ত দল

নিজস্ব সংবাদদাতা হ বাঁশখালী

২ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:১৮ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গা ভোটার ও এনআইডি জালিয়াত চক্রের সক্রিয় সদস্য চট্টগ্রাম নির্বাচনে অফিসের কর্মরত গ্রেপ্তারকৃত অফিস সহকারী কোটিপতি জয়নালের বাঁশখালী পৌরসভার আস্করিয়া পাড়ায় নির্মাণাধীন বাড়িতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে তদন্তে আসেন দুদকের একটি দল। দুদক ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় তদন্তকারী দল নব নির্মিত ৫ তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে পর্যবেক্ষণ করে জয়নালের পিতা মাতা এবং স্থানীয়দের নিকট জয়নালের আয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তদন্তকারী টিমটি জয়নালের সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে নির্মাণাধীন পাকা ভবনটিও পরিদর্শন করেন। তদন্তকালীন সময়ে ভবনের বিভিন্ন অংশ পরিমাপ করেন দুদক কর্মকর্তাবৃন্দ। তারা জয়নালের পুরাতন বসত বাড়ির খোঁজখবরও নেন।

গতকাল বিকেলে দুদক দল তদন্তকালীন সময়ে জয়নাল আবেদীনের পিতা মোনাফ মাঝি বলেন, তার দুই ছেলে রয়েছে। এক ছেলে বিদেশে। অপর ছেলে ২০০৪-২০০৫ সালে নির্বাচন অফিসে চাকুরী হয়েছে। সে এক বছর ধরে এই ৫ তলা পাকা ভবনটি তৈরী করছেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বাড়ির জায়গা জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং সিএনজি টেক্সি ক্রয় ও পৌরসভার একটি মার্কেটে দোকান রয়েছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জয়নাল আবেদীনের মার কাছ থেকেও কর্মকর্তারা তথ্য জানতে চেয়েছেন।

দুদুক প্রধান প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ভোটার ও এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগ গ্রেপ্তারকৃত জয়নালের সহায় সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব তদন্ত করা হচ্ছে। দুর্নীতিতে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের ব্যাপারে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযুক্তদের সহায় সম্পদ তদন্ত করা হচ্ছে। জয়নালের জায়গা জমির কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বাঁশখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আস্করিয়া পাড়ার মোনাফ মাঝির ছেলে মো. জয়নালকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নগরীর নির্বাচন অফিস কার্যালয় থেকে রোহিঙ্গা ভোটার ও এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে জয়নালসহ ৩ জনকে আটক করে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের একটি টিম। এ সময় তার কাছ থেকে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপও জব্দ করে দুদক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট