চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

ক্যান্সার নির্ণয়ের ম্যামোগ্রাফি ফিল্ম সংকট কেটে যাচ্ছে

চমেক হাসপাতাল

ইমাম হোসাইন রাজু

২৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দীর্ঘদিন থেকে অচল থাকা কোটি টাকার ম্যামোগ্রাফি মেশিনটি ফের সচলের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নারীদের স্তন টিউমার ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে মেশিনটি ব্যবহৃত হলেও ফিল্ম বা নেগেটিভের সংকটে সেবা থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিল রোগীরা। তবে ফিল্ম বা নেগেটিভ সংকট কাটিয়ে সকল চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফিল্ম বা নেগেটিভ সংগ্রহের সকল ব্যবস্থা প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই অত্যাধুনিক এ মেশিনটি চালুর কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ৬ আগস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ের এ মেশিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে সেবা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। শুরুকালে মেশিন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ছয়’শ ফিল্ম বা নেগেটিভ দেয়। যা দিয়ে বেশ কয়েক মাস রোগীদের সেবা দিয়ে গেলেও গত মার্চ মাসে ফিল্ম বা নেগেটিভ শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় সেবা কার্যক্রম। পরবর্তীতে এই ফিল্ম বা নেগেটিভ ক্রয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাথে যোগাযোগ করা হলেও প্রতিষ্ঠানটি তা আর সরবরাহ দিতে পারেন নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে অন্য স্থান থেকেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ফিল্ম বা নেগেটিভ সংগ্রহ করলেও তা মেশিনটিতে সপোর্ট না নেয়ায় বন্ধ করে রাখা হয়। আবার অন্য ফিল্ম সাপোর্ট না নেয়ায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকেই ফিল্ম সংগ্রহের পর ফের চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে ক্যান্সার নির্ণয়ের অত্যাধুনিক এই মেশিনটি
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক গতকাল পূর্বকোণকে বলেন, ‘আজ (বুধবার) এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ফিল্ম দেয়ার কথা জানিয়েছে তারা। ফিল্ম বা নেগেটিভ হাতে পেলেই পুণরায় কাজ শুরু হবে। আশা করে তখন আর সমস্যা হবে না। ফিল্ম হাতে পেলে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই পুণরায় চালু করা সম্ভব হবে’।

তিনি বলেন, ‘মূলত যে প্রতিষ্ঠানটি মেশিনটি সরবরাহ করেছে, তারা এমনভাবে মেশিনটি বানিয়েছে। তাদের ফিল্ম ছাড়া অন্য কোন ফিল্ম এতে কাজ করে না। আবার মার্কেট প্রাইজ থেকে দামও কয়েকগুণ বেশি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাদের কাছ থেকে এ ফিল্ম কিনতে হচ্ছে। তা না হলে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন’।

প্রসঙ্গত: ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দু’টি ক্যান্সার নির্ণয়ের অত্যাধুনিক মেশিন বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য। এর কিছুদিন পর মেশিনটি চমেক হাসপাতালে আসলেও তা বসানো কাজসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চালু করতে আরও প্রায় দু’বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে দীর্ঘ বছর পর তা চালু করলেও ফিল্মের সংকটের কারণে চালুর কয়েক মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে সেবা কার্যক্রম। ইতালি থেকে আমদানি করা দুটি মেশিনের খরচ পড়ে প্রায় তিন কোটি ৩২ লাখ ৩ হাজার ৯২১ টাকা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট