চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পূর্ণাঙ্গ অটোমোশনে যাচ্ছে চসিকের ৭১ স্কুল-কলেজ

ইফতেখারুল ইসলাম

২৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত ৭১টি স্কুল-কলেজের এসএসসি ও এইচএসসি টেস্ট পরীক্ষার সকল ব্যবস্থাপনা অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথমবারের মত চসিকের ২৩টি কলেজের ৫৮ হাজার ৯০০টি উত্তরপত্র এবং দ্বিতীয়বারের মত ৪৮টি স্কুলের ৮৭ হাজার উত্তরপত্র অর্থাৎ মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার উত্তরপত্রের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের এসএসসি টেস্ট পরিক্ষার কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্নের পর সিটি মেয়র চসিকের কম্পিউটার ইনস্টিটিউটকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ অটোমেশন পদ্ধতিতে করার নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে কম্পিউটার ইনস্টিটিউট চসিকের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার তৈরি করে। এটি বর্তমানে চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। চসিকের কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনিছ আহমদের তত্ত্বাবধানে ইনস্টিটিউটের তিন খন্ডকালীন প্রশিক্ষক আশরাফ রেজা, নুরউদ্দিন ও হায়দার আলী এ সফটওয়্যারটি তৈরি করেন। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি

প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লগইন প্যানেল, প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ব্যক্তিদের জন্য আলাদা প্যানেল, পরীক্ষকদের জন্য পৃথক লগইন প্যানেল, এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, স্বয়ংক্রিয় রোল নম্বর, প্রবেশপত্র প্রদান প্রস্তুতি, স্বাক্ষরলিপি প্রস্তুতি, পরীক্ষার্থীদের প্রতিটি উত্তরপত্রের জন্য পৃথক গোপন নম্বর তৈরি, অটো মার্কশিট তৈরি ও শিক্ষার্থীর রোল নম্বরভিত্তিক ফলাফল প্রদর্শন। ফলে এবছর পরিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই কলেজের ফলাফল জানতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারিদের উপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের দৈনিক ও ক্লাশভিত্তিক উপস্থিতি, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, ছুটির তালিকা, স্বয়ংক্রিয় রুটিন প্রস্তুত, প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা, পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় আসন বিন্যাস, ফলাফল ব্যবস্থাপনা। এটি বর্তমানে চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।

জানতে চাইলে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবার মান বেড়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর থেকে পিছিয়ে থাকতে পারে না। সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল সেবা পেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবক সবাই সবকিছু মনিটরিং করতে পারবেন। অর্থাৎ ফাঁকি দেয়ার সুযোগ চলে যাচ্ছে। কোন শিক্ষার্থী ক্লাসে গেল কি গেল না তা অভিভাবকরা জানতে পারবেন। ঘরে বসে জানা যাবে পরীক্ষার ফল। তাছাড়া কোন সময়ে কোন ক্লাস তাও জানতে পারবেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ এবং মান দুটোই বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকতা সুমন বড়–য়া বলেন, কলেজের পরীক্ষা কমিটি ও কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে এবছর থেকে কলেজগুলোর পরিক্ষা অনলাইনে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনলাইন পদ্ধতিতে ফল প্রকাশে সময় কম লাগা, সুন্দর-সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা যায়।

চসিক কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনিছ আহমদ বলেন, স্কুলগুলোর পাশাপাশি আমরা এবার কলেজগুলোতেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিজন পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর প্রদান, প্রবেশপত্র ও স্বাক্ষরলিপি প্রস্তত করেছি। এ বছর এই সফটওয়্যারে ৪৮টি স্কুল ও ২৩টি কলেজসহ মোট ৭১টি প্রতিষ্ঠান তাদের পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।

সফটওয়্যার কাজের দল প্রধান আশরাফ রেজা বলেন, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় পৃথক একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছি। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে মেয়র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অফিসে বসে প্রতি মুহূর্তের পরিসংখ্যান দেখতে পারবেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান হতে শুরু করে প্রতিজন শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রত্যেকের জন্য থাকবে পৃথক লগইন প্যানেল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট