চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’

চন্দনাইশ অপরপাশে নেই সড়ক নেই মানুষের বসতও, তবুও প্রায় ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দুটি সেতু

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

২০ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:০১ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার বরুমতি খালের ওপর কোয়ার্টার কিলোমিটারের মধ্যে ৪৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ২টি সেতু নির্মাণ করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। সেতুর অপরপাশে নেই কোন বসতবাড়ি ও সড়ক। একটি সেতুর অপর পাশে বিল, অপর সেতুর অপর পাশে খালপাড়ঘেঁষে ধানি জমি। ভবিষ্যতে ১৫-২০ বছরের মধ্যে বসতবাড়ি গড়ে উঠবে, এমন সম্ভাবনাও নেই। তবুও বিপুল অর্থ খরচ করে সেতু দুটি নির্মাণ করায় ‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’ এমন প্রচলিত বাক্যের সার্থকতা খুঁজে পাচ্ছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চন্দনাইশ পৌরসভার বরুমতি খালের ওপর মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী সড়ক ঘেঁষে কোয়ার্টার কিলোমিটারের মধ্যে পর পর ২টি সেতু নির্মাণ করা হয়। ২৮ ফুট দীর্ঘ প্রতিটি সেতু ২১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা করে ব্যয়ে নির্মাণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সেতুর একপাশে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী সড়ক থাকলেও অপর পাশে হারলা বিল রয়েছে। নেই কোন সড়ক ও জনবসতি।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, জমিতে চাষাবাদ করার জন্য এ সেতুগুলো কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করেছে। অন্য কোন কাজে এ সেতুগুলো ব্যবহৃত হবে না।

এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, পৌর মেয়রের দাবির প্রেক্ষিতে এ সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

পৌর মেয়র মাহাবুব আলম খোকা বলেন, দক্ষিণ হারলা থেকে আসা সড়কের মাথায় সেতুর সাথে বরুমতি খালের উত্তরপাড়ে সড়ক নির্মাণ করে বরকল সড়কের সাথে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। অপর ব্রিজের পাশে কোন জনবসতি না থাকায় কৃষকদের যাতায়াতের সুবিধা ও চাষাবাদের জন্য পাওয়ার টিলার নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে এ ব্রিজটি করা হয়েছে।

তবে স্থানীয় সচেতনমহল প্রশ্ন তুলেছেন, জনবসতিবিহীন এলাকায় কেবল চাষাবাদের সুবিধার জন্য বিপুল অংকের টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু ২টি জনগণের কল্যাণে কতটুকু ব্যবহৃত হবে, এ বিষয়টি নিয়ে। তাছাড়া পাওয়ার টিলার চলার উপযোগী করে সংযোগ সড়কও করে দেয়া হয়নি এখনো।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট