চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ ছয় এলাকার বাসিন্দা

৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৫২ পূর্বাহ্ণ

পাড়ায় পাড়ায় বেড়ে গেছে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত। তাই আতঙ্কে আছে পুরাতন চান্দগাঁও থানার আশেপাশ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার অলিগলি প্রায় সবগুলো সড়কই বেওয়ারিশ কুকুরের দখলে। রাতের অবস্থা আরো ভয়াবহ। ঘেউ ঘেউ শব্দে পাড়া মাথায় তোলে এ কুকুরগুলো। দিনের বেলায় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ চাকরিজীবী নারী-পুরুষ কুকুরের নানা উৎপাতের শিকার হচ্ছেন । বিশেষ করে প্রাইমারি ও বিভিন্ন কেজি স্কুলে যাতায়াত করা ছোট শিশুরা এ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখিন হচ্ছে.

এলাকাবাসী বলছেন কুকুরগুলো খুব আক্রমণাত্মক। সম্প্রতি নামাজ পড়ে যাওয়ার পথে পাঠানিয়াগোদার একজন বয়স্ক লোককে কামড় দিয়েছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শওকত হোসেন বলেন, গত দু’দিন পূর্বে বিকেল পাঁচটার দিকে গার্মেন্টস’র দুইজন মেয়ে বাড়ি ফিরার পথে পুরাতন চান্দগাঁও থানার উল্টো দিক থেকে একদল কুকুর এসে তাদের তাড়া করে। মেয়েগুলো ভয় পেয়ে দৌড় দিলে কুকুরগুলো তাদের পেছনে তাড়া করতে থাকে। এসময় এলাকার কিছু ছেলে তাদেরকে কুকুর থেকে রক্ষা করে। শুধু পথচারীই নয়, আক্রমণের শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল আরোহীরাও। লালমিয়া খলিফা বাড়ির জসিম উদ্দীন বলেন, আমি কিছুদিন আগে পাঠানিয়াগোদা এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলাম। এমন সময় চারটা কুকুর আমার মোটরসাইকেল ঘিরে ধরে। মোটরসাইকেলের পেছনে বাসার জন্য কিছু কাঁচাবাজার ও মাছ বাঁধা ছিলো। কুকুরগুলো সেই বাজার দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে আসতেই পারছিলাম না। রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিছুদূর যেতে না যেতেই আরও এক মোটরসাইকেল আরোহীকে দেখতে পাই। তাকেও চারদিক ঘিরে ধরেছে কুকুরগুলো। এমন অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনের কুকুর নিধন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এরিইমধ্যে যদি কুকুর নিয়ন্ত্রণ করা না হয় অল্পকিছু দিনের মধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে এলাকায়। এদিকে জলাতঙ্কের ভয়ে আছি আমরা। আবার কুকুরের কামড়ের জন্য ব্যবহৃত ভ্যাকসিনও অনেক দামি যা সবার পক্ষে কেনা সম্ভব না।

উল্লেখ্য, হামিদচর, মৌলভীপুকুর পাড়, পাঠানিয়াগোদা, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, লালমিয়া খলিফাপাড়া ও চৌধুরী ঘাটা এলাকায় এসব কুকুরের উৎপাত সবচেয়ে বেশি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট