চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কনের বাবাকে জরিমানা রাউজানে বর আসার আগেই বাল্যবিয়ে বন্ধ

৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:২৯ পূর্বাহ্ণ

পুরোবাড়ি সাজসজ্জায় ছিল। ছিল লাইটিং, সায়িমানাসহ বিয়ের আয়োজন রীতি অনুযায়ী সবকিছু। আগের দিন রাতে (বুধবার) ওই বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে মেহেদী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। পরদিন গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১শ জনের খাবার আগেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বরের বাড়িতে। দুপুরে আসেন বরযাত্রী। সাড়ে চার’শ জন মেহমানের (বৈরাতি) মধ্যে ২৫ জন খেয়েছেনও। বাকিরা একের পর এক আসতে থাকেন। অন্যদিকে নববধূ হতে যাওয়া সেই মেয়েটিও গোসল সেরে সজ্জিত হয়ে অপেক্ষায়।
বর হয়তো পথেই ছিল মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে। তবে মেয়েটির আর বরের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। বর আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বাল্যবিয়ের অভিযোগে প- করে দেন বিয়েটি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাউজানের গহিরা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার এহসান মুরাদ।

তাঁর সহকারীদের কাছে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (গতকাল) দুপুরে গহিরা দলই নগর হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও দলই নগর গ্রামের রফিক সওদাগরের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে লিমা আকতারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে এমদাদুল ইসলামের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই সময় ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ উপস্থিত হয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন। তিনি মেয়ের বাবা রফিক সওদাগরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদ- দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে বর আর মেয়ের বাড়িতে আসেনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার এহসান মুরাদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অনুষ্ঠানে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিই।’
দলই নগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিন্টু নন্দী বাল্যবিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটির বয়স ১৬। সে এ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমাদের অগোচরে বিয়ে সেরে ফেলা হচ্ছিল’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট