চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সিনেমা হলের চিহ্ন নেই রঙ্গম ও খুরশিদ মহলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সিনেমা হল গুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হলগুলো ভেঙ্গে কোথাও গড়ে উঠেছে মার্কেট- মালামাল রাখার গুদাম কিংবা কনভেনশন সেন্টার। ১৯২৭ সালে প্রথম লায়ন সিনেমা হল নির্মাণের পর রঙ্গম, সিনেমা প্যালেস এবং ষাট দশকের শেষভাগে প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আলমাস সিনেমা হল চালু হয়। নগরীর দ্বিতীয় সিনেমা হল রঙ্গমে এখন আর সিনেমা চলেনা। সেখানে বহুতল ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে ফ্ল্যাট বাসা আর কনভেনশন সেন্টার। রঙ্গম সিনেমা হলের পরিবর্তে এখন প্রবেশ মুখেই এখন শোভাপাচ্ছে রঙ্গম কনভেনশন সেন্টার।

নগরীর সিনেমা হলের তালিকা বেশ দীর্ঘ। হলগুলোর নামও বেশ চমৎকার । কোনোটির নাম সাগরিকা, কোনোটির নাম গুলজার, রঙ্গম কিংবা উজালা। এভাবে ঝুমুর, জলসা, লায়ন, বনানী, সানাই, উপহার, রিদম, মেলোডি,সঙ্গীত,নূপুর, চাঁদনী, কর্ণফুলীসহ আরও কিছু হলের নামে রয়েছে বৈচিত্র্য । তবে নামগুলো থাকলেও এখন সেখানে সিনেমা হল নেই! হলগুলো ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে নানা স্থাপনা।

নগরীতে একসময় ২৭টি সিনেমা হল ছিল। হলের এমন সংখ্যাই বলে দেয় এখানে কেমন ছিল চলচ্চিত্র ব্যবসা। কিন্তু সেসব এখন সোনালি অতীত। হলগুলো বন্ধ হতে হতে এখন কেবল চারটিতে এসে ঠেকেছে। ইতিমধ্যেই নগরীর খুরশিদ মহল সিনেমা হল ভেঙে তৈরি হয়েছে মহল মার্কেট, স্টেশন সড়কের উজালা সিনেমা হল ভেঙে করা হয়েছে এশিয়ান এসআর হোটেল, আগ্রাবাদের বনানী সিনেমা হল ভেঙে করা হয়েছে বনানী কমপ্লেক্স, নিউমার্কেটের জলসা সিনেমা হলে হয়েছে জলসা মার্কেট। এভাবে লায়ন, গুলজার আর নূপুর সিনেমা হল ভেঙেও করা হয়েছে বহুতল মার্কেট। সিনেমা হল মালিকরা বলছেন, ভালো মানের চলচ্চিত্র তৈরি না হওয়ায় দর্শকরা হলে আসছেন না। এছাড়া স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে ঘরে বসে পছন্দের ছবি দেখার সুযোগ থাকায় হলে সিনেমা দেখার আগ্রহ কমে গেছে। দর্শকদের সিনেমা হলমুখী করতে হলে ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয় নগরীর কাজীর দেউরী সংলগ্ন আলমাস ও দিনার সিনেমা হল। ১৯৬৫ সালে যাত্রা শুরু করা হল দুটি বর্তমানে ইজারা নিয়ে পরিচালনা করছে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। দুই দশক আগেও রমরমা অবস্থা ছিল চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সিনেমা প্যালেস হলটিতে। কাউন্টারের সামনে লেগে থাকত দর্শকদের ভিড়। কিন্তু এই হলটির অবস্থাও ভালো নয়। একই অবস্থা চালু থাকা পূরবী হলেরও। আকাশ সংস্কৃতিসহ নানা কারণে সিনেমা হল বিমুখ হয়ে পড়েছেন দর্শকরা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট