কেউ সাংবাদিক, কেউ জেলা প্রশাসক, কেউ পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দিয়ে থাকেন। তাদের এই পরিচয়ে মানুষ ভয় পেয়ে তাদের হাতে জিম্মি হয়ে সর্বসান্ত হন। নানান পরিচয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় অফিসও করেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর একটি গাড়িকে কক্সবাজার যাবে বলে জিইসি এলাকায় ছিনতাই করে ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় এই চক্রটি। গাড়িটি নিয়ে পালানোর সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে গাড়িটি সহ আটক করে। এই ঘটনায় পলাতক দুই ব্যক্তিকে নগীরর পাঁচলাইশ থানার দুই নম্বর গেট ফ্লাইওভার থেকে আটক করেছেন পুলিশ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় বায়োজিদ থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ব্যবহৃত ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার সদরের বাহাছড়া এলাকার জালাল আহমদের ছেলে আরাফাত আহমদ (৩১), কুতুবদিয়ার খোয়ারবিল এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাহাদুর শাহ (৪৫)। হাফেজ আহমদ বর্তমানে বায়োজিদের আমিন কলোনীতে থাকেন ও বাহাদুর শাহ রৌফাবাদ এলাকায় থাকেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া পূর্বকোণকে বলেন, গত ৩০ আগস্ট একটি কক্সবাজার যাবে বলে সংঘবদ্ধ এক প্রতারক চক্র একটি নোহা গাড়ি ভাড়া করে। গাড়িটি ভাড়া করে কয়েকজন যুবক। একসময় তারা অন্য লোক উঠানোর নাম করে লালখান বাজার যাওয়ার পথে জিইসি র্যাম্পের কাছে আসলে গাড়ির ড্রাইভারকে মারধর করে টাকা-পয়সা মোবাইল ছিনতাই করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে ড্রাইভার পুলিশ বক্সে অভিযোগ করলে ধাওয়া দিয়ে গাড়িটি আটক করে। এ সময় তিনজন গাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার পলাতক ব্যক্তির দুইজনকে গতকাল আটক করা হয়।
এই চক্রের কেউ সাংবাদিক, কেউ জেলা প্রশাসক, কেউ পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দিয়ে এই ছিনতাই কাজ করে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের তদন্ত চলছে। আরো অনেক তথ্য আমরা তদন্তের স্বার্থে জানাতে পারছি না বলে জানান ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া।
পূর্বকোণ/পলাশ