চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

এই ভোগান্তির শেষ কবে ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দুই মাসেও শেষ হয়নি নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মুরাদপুর মোড়ের কালভার্টের কাজ। ফলে ভোগান্তি বেড়েই চলছে এই সড়ক ব্যবহারকারীদের। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় এই কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই মাসেও কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় কাজের ধীরগতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় ও যাতায়াতকারীরা। ঈদের আগেই নির্মাণকাজ শেষে পথচারীদের জন্য কালভার্টটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তবে যথাসময়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা, গ্যাসের পাইপ লাইন ও বিটিসিএল পোল না সরানোর কারণে নির্ধারিত সময়ে কালভার্টের কাজ শেষ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী।  

 

জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি মুরাদপুর মোড়ের কালভার্টটি ভেঙে কাজ শুরু করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কাজ শুরুর দুইমাসের মধ্যে কালভার্ট নির্মাণ শেষে সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা থাকলেও এখনো কালভার্টের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি। অন্যদিকে, মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন সড়ক যাতায়াতকারী ও পথচারীদের জন্য একটি অস্থায়ী সরু ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। যা পথচারীর তুলনায় অপর্যাপ্ত মনে করছেন নিয়মিত এই সড়ক ব্যবহারকারীরা। তাই নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকায় যাতায়াতের অন্তত দুটি ব্রিজ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন পথচারীরা।  চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় মুরাদপুর মোরে কালভার্ট নির্মাণের জন্য মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন পর্যন্ত সড়কের যান চলাচল গত ১৭ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড  এই এই সড়কটি সাময়িক বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে।

 

ওই সময়ে সড়কটি বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে ওই এলাকায় ব্যানার টাঙিয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য ওই সড়কে ব্যানারও টাঙিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, মুরাদপুর মোড় থেকে অক্সিজেনমুখী পথচারীদের যাওয়ার জন্য একটি অস্থায়ী লোহার ব্রিজ দিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে ব্রিজটি সরু হওয়ায় যাতায়াতের সময় ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। বিশেষ করে অফিস শুরু ও শেষের সময়ে ভোগান্তিতে পড়েন এই সড়কে যাতায়াতকারীরা। এসময় দীর্ঘ লাইন ধরে সড়ক পারাপার হতে দেখা যায়।

 

জানতে চাইলে এই সড়ক ব্যবহারকারী মো. তারেকুল ইসলাম নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, অফিস শেষে মুরাদপুর পার হতেই অনেক সময় লাগে। এসময় মানুষের চাপ থাকায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। যেহেতু এখনো কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি, তাই আমাদের দাবি দ্রুত কালভার্টটি নির্মাণ করে সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। এছাড়া, কালভার্টটি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য আরেকটি অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করা হোক।

 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী বলেন, মুরাদপুরের কালভার্টটির নিচে ওয়াসার ৭টি পাইপ লাইন ছিল। এছাড়া, গ্যাসের পাইন লাইন, বিদ্যুৎ ও বিটিসিএল এর পোল ছিল। যথাসময়ে এগুলো না সরানোর কারণে মূলত কালভার্টের কাজ করতে দেরি হয়েছে। আমরা আশা করছি ঈদের আগেই নির্মাণ কাজ শেষে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট