শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প খাত থেকে বছরে আয় হয় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। সরকার রাজস্ব পায় ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ডলার। এ শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ নিয়োজিত; পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল প্রায় দেড় লাখ মানুষ। তিন শতাধিক রি-রোলিং স্টিল মিল এর ওপর নির্ভরশীল। দেশের সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নে এ শিল্প ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কাজেই উন্নয়নের স্বার্থে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা অপরিহার্য।

শনিবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়নবিষয়ক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, নরওয়ের উপরাষ্ট্রদূত সিলজে ফাইনস ওয়ানেবো, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসবিআরবির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) প্রকৌশলী শেখ ফয়েজুল আমীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কামাল পাশা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও শিপ ব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন হংকং কনভেনশন-২০০৯ অনুসমর্থন বাস্তবায়নে কাজ করছে। গার্মেন্ট ও অন্যান্য শিল্পের মতো জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বাজারও প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে নরওয়ে আমাদের কর্মীদের আরও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। আমরা আগামী দু-তিন বছর কাজ করে গেলে ভবিষ্যতে এ শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে ভালো অবস্থান করে নিতে পারবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপইয়ার্ডে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাহাজ পুনর্নির্মাণ শিল্প পরিদর্শনের জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূত ও নরওয়ের উপরাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে এসেছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকারী দেশ। দেশে ১৬৭টি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ইয়ার্ড রয়েছে; যা সীতাকুণ্ডে অবস্থিত। এখানে বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা ১০ মিলিয়ন টনের বেশি। এ শিল্পের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ। দেশের সামগ্রিক স্টিলের চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আসে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ থেকে।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ