চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৬:০৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি চক্রের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. জয়নাল আবেদীন (৩৮)।

 

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার মোবাইল পর্যালোচনায় জানা যায়, এ পর্যন্ত জালিয়াতির মাধমে ৫০টির বেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেছে। তার মত এরূপ আরো একাধিক চক্র সারা দেশ ব্যাপী এ অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত আছে। প্রতিটি ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে গড়ে ১৫০০-১৮০০ টাকা নিয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের জন্মনিবন্ধন সনদসহ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহকারী চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য।

 

তিনি আরও বলেন, জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র ও এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ২টি মামলা তদন্তাধীন আছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান ও আইনি কার্যক্রম চলমান আছে ।

 

এর আগে সনদ জালিয়াতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ইপিজেড এলাকা থেকে মনি দেবী ও রাকিব নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তাদের কাছ থেকে দুটি কম্পিউটার এবং একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি মনি দেবী ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তার জন্মনিবন্ধন সনদের মূলকপি নিতে যান। যাচাই–বাছাই করে দেখা যায় তাঁর সনদটি অবৈধ। ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন যে ইপিজেড এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি সনদটি নিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

তখন আসিফ মহিউদ্দীন জানিয়েছিলেন, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে স্বীকার করেছেন রাকিব। এখন পর্যন্ত অনেক ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেছেন তিনি।

 

এছাড়া সনদ জালিয়াতির ঘটনায় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে পতেঙ্গা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত সাত থেকে আট মাসে পাঁচ হাজারের বেশি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছে চক্রটি। একেকটি সনদের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা নিত চক্রটি।

 

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট