চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের মালিককে অফিস কক্ষে আটকে রেখে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক নারী।

বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতাল নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শেখ তুরিন, স্থানীয় ইউসুপ, সোহেল, মো. হাসান ও আবির।

মামলার ৩ নম্বর আসামি মাসুদ করিম রানা উপজেলা ছাত্রলীগের পাশাপাশি সদ্যগঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

মামলার বাদি সাবিনা ইয়াসমিন দাবি করেন, গত ১৩ আগস্ট সকালে তিনি তার স্বামী জসিম উদ্দিন, দুই মেয়ে মুনতাহা কারিনা বৃষ্টি ও নুসরাত আফরিন বিথীসহ হাসপাতালে যান। ওইদিন দুপুরে তারা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ আহ্বায়ক মাসুদ, মিঠানালা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ তুরিনসহ ৮/১০ জন হাসপাতালে ঢুকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর শুরু করে। এ সময় তিনি নিজের স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও গালমন্দ করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

চাঁদা দাবির বিষয়ে সাবিনা বলেন, ‘প্রথমে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রায় ৩ ঘণ্টা হাসপাতালের অফিস কক্ষে আটকে রাখে আমার স্বামী জসিম উদ্দিনকে। এরপর তারা এক পর্যায়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ৭ লাখ টাকা দিবে এ মর্মে জসিম উদ্দিন থেকে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।’

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, গত ১৪ আগস্ট বড়তাকিয়া চক্ষু হসপাতালের মালিক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসনি বাদি হয়ে থানায় ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিলে পরদিন ১৫ আগস্ট এটি এজাহার আকারে গ্রহণ করা হয়। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ