চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

জালিয়াতি রোধে ‘এসাইকুডায়’ যুক্ত করা হবে ইপিজেডগুলোকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুলাই, ২০২২ | ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

দেশের আটটি ইপিজেডে অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণকারী সফটওয়্যার এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের সাথে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এছাড়া আমদানি-রপ্তানির এসাইকুডার তথ্যে সিএন্ডএফ এজেন্টের নাম যুক্ত করার কথাও জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কক্ষে পণ্য চালান খালাসের অপচেষ্টা রোধে করণীয় সম্পর্কে স্টেক হোল্ডারদের সাথে আয়োজিত বৈঠকে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, দেশের আটটি ইপিজেডের শতশত শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। কারণ এনবিআর প্রণীত সফটওয়্যার এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ওইসব প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানির তথ্য থাকে না। ফলে তারা কি পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করছে তার বিস্তারিত জানা যায় না। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির জালিয়াতি চক্র ইপিজেডের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি (আমদানি আদেশ) তৈরি করে চট্টগ্রাম বন্দর হতে অবৈধ পণ্যের চালান খালাস করে।

 

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খালাস হওয়া ও বন্দরের ভেতরে থাকা বিপুল মদের চালান আটকের পর এনবিআর ওইসব ফাঁক-ফোকর বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। সভায় এসাইকুডায় সিএন্ডএফ এজেন্টে নাম যুক্তকরণ প্রসঙ্গে বলা হয়, ২০১২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অনুষ্ঠিত পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জালিয়াতি রোধ এবং পণ্য চালান দ্রুত শুল্কায়নের স্বার্থে এসাইকুডার শুল্কায়ন পদ্ধতির মধ্যে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্টের এআইএন নাম্বারসহ তালিকা সংযুক্ত ছিল। যাতে তালিকা বহির্ভূত কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে না পারে। ফলে জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য চালান খালাস হ্রাস পায়।

 

কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর হতে নতুন শুল্কায়ন পদ্ধতি এসাইকুডায় পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্টের তালিকা সংযুক্ত না করার কারণে অনেক তালিকা বহির্ভূত সিএন্ডএফ এজেন্ট জালিয়াতির মাধ্যমে বে-আইনিভাবে পণ্য চালান খালাসে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিগত ২০১৫ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাথে বিজিএমইএ’র অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে আলোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মনোনীত সিএন্ডএফের তালিকা এসাইকুডায় যুক্ত করা হয়নি। যার কারণে জালিয়াতির মাধ্যমে বে-আইনিভাবে পণ্য খালাস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া সভায়, পণ্য খালাসে এইচএস কোড নিয়ে জটিলতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনবিআর বোর্ড সদস্য (কাস্টমস নীতি) মাসুদ সাদিক, চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম, বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভপতি রকিবুর রহমান, বেপজা’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ এজেন্টের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট