চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

১০ দফা প্রস্তাব মেট্রোপলিটন চেম্বারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুলাই, ২০২২ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি ডলারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিএমসিসিআই) সভাপতি খলিলুর রহমান শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বাজারে এভাবে ডলারের দাম বৃদ্ধি হলে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশে শিল্পের কাঁচামাল, নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, চিকিৎসাসামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। যার ফলে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়তে পারে এবং দেশের সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়বে। যা প্রতিরোধ যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি জরুরি।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ দাবি জানান। পাশাপাশি ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে ১০টি প্রস্তাবনা দিয়েছেন সিএমসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমান। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ডলারের বাজার অস্থির করে হয়ত কিছু লোক ডলার মজুদ করে ব্যবসা করছে। আর যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক যে সব সার্কুলার দেয় সেগুলো পালন না হলে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সার্কুলারে তা বলা থাকে না।

 

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা মনিটরিংয়ের কোন শাখা বা বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা সংশ্লিষ্টদের নিয়ন্ত্রণে আগের মত অডিট টিম নাই। বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত কোন বড় অভিযোগ হলে বিষয়টি শুধু সিআইডিতে পাঠানো হয়। খলিলুর রহমান আরো বলেন, দেশে সিআইডির হাজারো কাজ। অনুসন্ধান ও কোর্টে মামলা জট প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ হয় বলে এগুলোর তাৎক্ষণিক প্রতিকার কম। তাই কোন সার্কুলার অনুসৃত না হলে তার অনুসন্ধান ও প্রতিটি অনিয়মের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে বিশেষ শাখা না থাকায় সিডিউল ব্যাংকগুলিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার না মেনে এক এক ব্যাংক এক এক দরে ডলার লেনদেন করছে। এ অবস্থায় দেশের ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে ১০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন খলিলুর রহমান। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ব্যাংকে সিআইডির সমন্বয়ে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ সেল খোলা, বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিষয়ক লেনদেন মনিটরিংয়ের অডিট টিম গঠন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অমান্যে ডলার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিটি মামলায় জরিমানা করা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই টিম দেশের প্রতিটি মানি এক্সচেইঞ্জারদের দৈনন্দিন লেনদেন হিসাব নেওয়া, বিক্রেতার কাছে ডলার ক্রয়কারীর এনআইডি কার্ডের কপিসহ ডলার ক্রয়ের উদ্দেশ্য লেখা ফরম পূরণ করা, বিধান বহির্ভূতভাবে কারও কাছে ডলার মজুদ পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা, দর স্থির না হওয়া পর্যন্ত বিদেশে ডলার নিয়ে যাওয়ার পরিমাণ ২৫% কমিয়ে দেয়া।

 

এছাড়া বিমান, জল পথ এবং সড়ক পথে বিধি বহির্ভূত ভাবে ডলার পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা, শুধু সার্কুলার দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকে মনিটরিং বিষয়ে সক্রিয় হওয়া ও প্রতিটি ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা শাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া ও দৈনিক লেনদেনের তথ্য নেওয়া জরুরি।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট