মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার সুফল পাচ্ছে চট্টগ্রাম। নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ। ঝাঁকে ঝাঁকে জালে আটকা পড়ছে রুপালী ইলিশ। সোমবার (২৫ জুলাই) ভোরে চাক্তাই নতুন ফিশারি ঘাট ও রাসমনি ঘাট, আনন্দ বাজার ঘাট, উত্তর কাট্টলি, দক্ষিণ কাট্টলি, আকমল আলী ঘাটে ইলিশ বিক্রির ধুম পড়ে যায়। পাইকারিতেই প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে এই দাম প্রতি কেজি হাজার টাকা। বিভিন্ন আড়তে ইলিশের আকার ভেদে প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৭ হাজার টাকা করে ।
ফিশারি ঘাটে ইলিশ কিনতে আসা আবদুর রশিদ নামের এক যুবক জানান, জেলেরা বলছে বাঁশখালী, মিরসরাই, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ডের উপকূলীয় এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। তাতে তারা খুব খুশি। আমি কিন্তু খুশি না কারণ এতো ইলিশ আসছে তবু কমছে না ইলিশের দাম। এখানে কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এতো টাকা দিয়ে কিভাবে ইলিশ কিনবো। পরিবার থেকে যা টাকা দিয়ে পাঠিয়েছে তাতে ইলিশের আশেপাশে লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে ঘুরছি শুধু । তবে এখানে যে ইলিশ ৮০০ টাকা বিক্রি করছে খুচরা বাজারে তা ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা দাম।
প্রজনন মৌসুমে সরকারের নানা উদ্যোগ ও কঠোর অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে দাবি করছেন মৎস্য কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর । প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থায়ী মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। সরকারের এমন ব্যবস্থাপনার ফলে এরই মধ্যে ইলিশের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তারা।
পূর্বকোণ/পারভেজ