চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধর্ষক পলাতক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কক্সবাজার

৩ আগস্ট, ২০১৯ | ১০:৩১ অপরাহ্ণ

 

 

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ৮ বছরের এক কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। ঘটনায় জড়িত লম্পট ধর্ষক এখনো আটক হয়নি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ওয়ার্ডের মেম্বার ও এক যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকালের দিকে ঘটনাটি ঘটলেও তা লোকমুখে প্রচার পাচ্ছে আজ শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে।

ভিকটিমের মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার ৮ বছরের শিশু কন্যাকে পার্শ্ববর্তী মুরা পাড়াস্থ একটি দোকানে ডালের জন্য পাঠালে দোকানদার একই এলাকার বাডুর ছেলে সেলিম উল্লাহ শিশুটিকে একা পেয়ে দোকানের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তার শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে দেখতে পান শিশু কন্যা রক্তাক্ত হয়ে কান্না করছে। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত মাকে ডেকে এনে মেয়ের অবস্থা সম্পর্কে অবগত করেন। পরে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে ধামাচাপা ছিল।

এদিকে, বিষয়টি লোকমুখে একটু জানাজানি হলে পরদিন শনিবার (৩ আগস্ট) ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিনের কাছে জানালে তিনি স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসা করার তাগিদ দেন বলে জানান ভিকটিমের মা। একই সাথে ধর্ষক সেলিম উল্লাহর নিকটতম আত্মীয় সাবেক যুবদল নেতা শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিষদে একটি মিটিং আছে বলে জানান। পরে কথা বলবে বলে আর কল করেননি।

যুবদল নেতা শাহজাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মদ্যপ অবস্থায় সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা উভয়েই পরস্পর আত্মীয়। তাই বিষয়টি ঘরোয়ারাভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম।

এ ব্যাপারে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত ভিকটিম ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কেউ বিষয়টি জানায়নি। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে ও সদর মডেল থানা থেকে একজন অফিসার এ বিষয়ে খবর নিতে হাসপাতালে গেছে।

 

 

পূর্বকোণ/আরাফাত-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট