প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) চট্টগ্রাম। নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডে অবস্থিত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি বছর ২৫০ জন প্রাথমিকের শিক্ষক এ প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে আগামী বছর থেকে দুই শিফটে প্রায় ৫০০ শিক্ষক এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন বলে জানান পিটিআই’র সুপারিনটেনডেন্ট কামরুন নাহার।
পিটিআই সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। ১৮ মাস বা দেড় বছর মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ শুরু হয় জানুয়ারি মাসে। এক বছর পিটিআই এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাকি ছয় মাস নিজ স্কুলে ইন্টার্নশিপের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে। ৬ মাসের শেষের দিকে এসে প্রশিক্ষণার্থীদের পুনরায় পিটিআইয়ে গমন করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
পিটিআই সূত্র আরো জানায়, মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের সময় প্রতিটা বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা বোর্ড গঠন করা হয়। এসব বোর্ডে প্রশিক্ষণার্থীদের বিগত ৬ মাসের কার্যক্রমগুলো প্রদর্শন করতে হয়। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ মাসের প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘটে। তবে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসির নিচে রয়েছে ডিপিএড’র পরিবর্তে তাদের সি-ইন-এড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। এসব প্রশিক্ষণার্র্র্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করে ময়মনসিংহস্থ সি-ইন-এড বোর্ড। আর ডিপিএড প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর।
উল্লেখ্য, ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সরাসরি এমএড কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। প্রশিক্ষকদের মধ্যে অধিকাংশই দেশের বাইরে থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এসেছেন।
এ সম্পর্কে পিটিআই’র সুপারিনটেনডেন্ট কামরুন নাহার জানান, প্রশিক্ষণের সময় সপ্তাহে ৫দিন ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পিটি বা শরীর চর্চা করানো হয়। এরজন্য শারীরিক শিক্ষার ইন্সট্রাক্টর রয়েছেন। এরপর সকাল ৯টা থেকে এসেম্বলি এবং শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। এজন্য আমাদের মোট ১৩ জন ইন্সট্রাক্টর ও ১ জন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বন্দর, ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, চান্দগাঁও, কোতোয়ালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, সীতাকু-, হাটহাজারী ও সন্দ্বীপের শিক্ষকগণ এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে চালু হওয়া এই পিটিআই এ প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।