চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’

মোকাবিলায় ১০ হাজার কর্মী প্রস্তুত কক্সবাজারে

প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৯টি মেডিকেল টিম

নিজস্ব সংবাদদাতা

৩ মে, ২০১৯ | ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ধেয়ে আসা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবিলায় কক্সবাজারেরর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি কর্মী। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৯ টি মেডিকেল টিম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৬ হাজার ৪৫০ জন কর্মী রয়েছে। তার মধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে ১ হাজার ৭০০ কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪৩০ ইউনিটে ভাগ হয়ে তারা কাজ করবে। রেডক্রিসেন্টের রয়েছে ১২ শতাধিক কর্মী। তারা ৫ টি ইউনিটে ভাগ হয়ে কাজ করবে। এছাড়া সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে ৮৯ টি টিম গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে ২০ জন চিকিৎসক অন্যান্য এলাকা থেকে এনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তাছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের চারটি বিশেষ ইউনিট ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছয়টি ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা রইস উদ্দীন মুকুল জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সম্বলিত ৪ হাজার ৫০০ খাবার প্যাকেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একটি পরিবারের ১০ দিন যাবে প্যাকেট গুলো। এছাড়া চিড়া ও গুড়সহ বিভিন্ন শুকনো খাদ্য সামগ্রীও মজুদ রাখা হয়েছে। সভায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আবছার

বলেন, জেলা শহরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টিতে নজরদারি রেখেছি। এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট