চট্টগ্রাম শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

আনোয়ারায় ডিজিটাল ভূমি জরিপ নিয়ে নানা অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আনোয়ারা

২৬ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় ভূমি জরিপে হয়রানি, ভুল রেকর্ড, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে এলাকার লোকজনের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গত ২১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদ’র বরাবরে আইনগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকার ভুক্তভোগীরা লিখিত আবেদন করেছেন।
জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ডিজিটাল ভূমি জরিপ চলছে। ২৫ জন সার্ভেয়ার এতে কাজ করছেন। বটতলী ইউনিয়নের পূর্ব তুলাতলী গ্রামে ডিজিটাল জরিপকালে সার্ভেয়াররা উৎকোচ দাবি করে। লিখিত অভিযোগে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সুজন, সার্ভেয়ার ইকবাল, ইয়াছিন, রহিম, বেলাল ও কাইয়ুম উৎকোচ নিয়েছে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ জন সার্ভেয়ারকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারগণ স্থানীয় শ্রীধাম রায় দত্ত, ইন্দ্রজিৎ দত্ত, অলক দেব, অজিত চৌধুরী, তাপস রঞ্জন দত্ত, রুবি চৌধুরী, সজিব দত্ত, সবুজ কান্তি দেব, সাগর দেব, পূর্ণিমা দেব, সুমন দত্ত থেকে উৎকোচ নিয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, মোটা অংকের উৎকোচের লোভের বশবর্তী হয়ে দখলহীন ও রেকর্ডভুক্তবিহীন ব্যক্তিদের নামে ডিজিটাল জরিপ প্রস্তুত করে থাকে। এ কারণে প্রকৃত দখলদার ও ভূমির মালিকরা রেকর্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে রেকর্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রকৃত জমির মালিকরা বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরেও সেটেলমেন্ট কর্মকর্তারা মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করে।
ভূমি জরিপে হয়রানির শিকার সবুজ কান্তি দেব জানায়, সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারগণ ডিজিটাল ভূমি জরিপে তুলাতলী এলাকার লোকজন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগামী ২৯ জুলাই এ বিষয়ের ওপর শুনানি করা হবে। শুনানিতে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত বেলাল উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২ মাস আগে আমরা জরিপ কার্যক্রম বুঝিয়ে দিয়েছি। জরিপ কাজে টাকা নেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। জরিপের ২ মাস পরে কেন কথা উঠছে তা আমার বোধগম্য নয়।
আনোয়ারা উপজেলা অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, এলাকায় এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। জরিপ কার্য ভুল হলে ৩০ ধারা মোতাবেক মামলা করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট