চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সিনেট কক্ষে এক জরুরি সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর আবুল মনছুরকে আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ডিরেক্টর ড.জারিন আক্তার,মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট ড. তড়িৎ কুমার বল, চবি কলেজ পরিদর্শক শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, সহকারী প্রক্টর এসএ এম জিয়াউল ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বল হয়।

এ সময় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও প্রক্টর রবিউল হাসান ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হল, প্রশাসনিক ভবন ও ক্যান্টিনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র বাইজিদ সূর্যসেন হল ক্যান্টিনে নাস্তা করতে যায়। সেখান থেকে এপিটাফ গ্রুপের কর্মীরা তাকে সূর্যসেন হলে আটকে রেখে র‍্যাগ দেয়। পরে ওই শিক্ষার্থী সিক্সটি নাইন গ্রুপের সিনিয়র নেতাদের জানালে সিনিয়ররা সূর্যসেন হলে যায়। এ সময় এপিটাফ ও সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের ১৭ জন কর্মী আহত হয়। এছাড়াও সূর্যসেন হলের প্রশাসনিক ভবন, ক্যান্টিন ক্যান্টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ