চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সংস্কারকাজ

বাঙ্গালহালিয়ায় বেহাল রাস্তা-ব্রিজ চলাচলের সমস্যা মারাত্মক

হারাধন কর্মকার, রাজস্থলী

২৩ জুলাই, ২০১৯ | ১:১৩ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের গ্রামীণ সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা।
বাঙ্গালহালিয়ার ডাকবাংলা, ধলিয়া নোয়াপাড়া, ধলীয়া মুসলিম পাড়া, কাকড়াছড়ি, নাইঙ্গ্যছড়া, আগাপাড়া, শফিপুর, কুদুমছড়া, কুতুরিয়া, খ্যান্দ্যং পাড়া ইসলামপুর এলাকায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে ব্রিজ ও কালভার্ট ধসে গিয়ে চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
নাইঙ্গ্যছড়া পাড়ার বিদ্যালয়পড়–য়া ছাত্র অংসিইনু মারমা বলেন, পাড়া থেকে বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার সড়ক পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে রাস্তায় মাটির স্তূপ হয়ে যানবাহন চলাচল এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে আমাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। কাকড়াছড়ি পাড়ার কারবারি সুক্যচিং মারমা বলেন, বাঙ্গালহালিয়া ও নাইঙ্গ্যছড়া রাস্তাটি দিয়ে কাপ্তাই রাইখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকজন কৃষি মালামাল নিয়ে বাঙ্গালহালিয়া বাজারে বিক্রয় করতে আসতে হয়। রাস্তাটির ওপর থেকে এখনো মাটিগুলো না সরানোর কারণে পাড়ার স্কুলগামী ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে লোকজনের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে ডাকবাংলা পাড়ার বাসিন্দা ও বাঙ্গালহালিয়া দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুন সেন বলেন, পাড়ার মাঝখানে ত্রাণ বিভাগের নির্মিত ব্রিজের পাশের মাটি পানির স্রােতে ভেসে গিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না।
বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা বলেন, বন্যাকবলিত বেশ কয়েকটি এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। তবে এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ধসে যে হারে ক্ষতি হয়েছে, তা বরাদ্দের অভাবে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে যোগান দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাকড়াছড়ি ও নাইঙ্গ্যছড়ার রাস্তার ওপরের মাটি সরিয়ে লোকজন চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানদের থেকে তালিকা নিয়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারসহ ১৩৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে বরাদ্দ হাতে পেলেই রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্টগুলো সংস্কার করা যাবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট