কক্সবাজার শহরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সরকারি পাহাড়ি খাস জমি; অথচ ব্যক্তিগতভাবে সরকারি পাহাড়গুলো দখল করে খ- খ- করে বিক্রি চলছেই। বিক্রির পর সেখানে চলছে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটাও। বর্তমানেও থেমে নেই পাহাড় কাটা। গত মঙ্গলবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেখানে পরিদর্শনে যান সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মুক্তার। তিনিও পাহাড় কাটার সত্যতা পান।
শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাস টার্মিনাল সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব লারপাড়াস্থ গমপানির ছড়া এলাকায় অভিযানে যায় গত ১৬ জুলাই বিকেলে। সেখানে সরকারি বিশাল পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। খ- খ-ভাবে সরকারি পাহাড়গুলোও বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অভিযানের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযানের আগেই তারা পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়গুলো বিক্রির পর কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে স্থানীয়দের মাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। সরকারি পাহাড় বিক্রি, ক্রয় ও পাহাড় কাটায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করেছি। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে লারপাড়াস্থ গমপানিরছড়া এলাকা পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, সরকারি পাহাড় বিক্রি ও কাটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। সমাজের একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি এসব কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন খুবই কঠোর। লারপাড়াস্থ সরকারি ওই পাহাড়টিতে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব লারপাড়াস্থ গমপানিরছড়া এলাকায় বিশাল সরকারি পাহাড়টি দখলে রয়েছে কামরুল নামে এক ব্যক্তির। কামরুলের বাবা সরকারি এই পাহাড়টি দখলে রেখেছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর সরকারি পাহাড়টি খ- খ-ভাবে বিক্রি করে যাচ্ছে কামরুল। এখনো বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রির পর সেখানে চলছে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা। দিনরাত প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা হচ্ছে। কোনভাবে থামানো যাচ্ছে না পাহাড় কাটা। কেটে নেয়া হয়েছে অনেক গাছও।