আগামীকাল রবিবার বাঁশখালী পৌরসভার ভোট গ্রহণ। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার দুপুর থেকে ইভিএম মেশিন ও ভোট গ্রহণ সরঞ্জাম পৌঁছানো হবে ভোটকেন্দ্রে।
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। গতকাল মধ্যরাতে প্রচারণা শেষ হয়েছে। শেষমুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটান প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকেরা। তবে শেষমুহূর্তে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, প্রচার গাড়ি ভাঙচুর ও ফাঁকা গুলি ছুড়ার অভিযোগে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোটের দিনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ নেই। ভয়-ভীতি দেখানো ও এজেন্ট দিতে না দেওয়ার শঙ্কা জানিয়ে দুটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ দুটি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে কাজ করবেন।’
নির্বাচনে ৩২০ জন পুলিশ, ২ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন র্যাব দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিকেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ ও ৯ জন আনসার-ভিডিপি দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি ওয়ার্ডে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের স্ট্রাইকিং টহলে থাকবেন।
মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এডভোকেট এসএম তোফাইল বিন হোসাইন (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী (মোবাইল)।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফাইল বিন হোছাইন বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে বিজয়ী হবো। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কাছে সহায়তা কামনা করছি।’
সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী বলেন, ‘গতকাল শেষদিনে ৫নং ওয়ার্ডের রুহুল্লাহ পাড়ায় আমি গণসংযোগ করে আসার পর ৮-১০টি মোটর সাইকেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে বহিরাগতরা আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছে। ভোটের দিন বহিরাগতদের কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহিরাগত নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বহিরাগতদের ঠেকানোর ব্যবস্থা নিবেন।
৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে চারটি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ভোটকক্ষ রয়েছে ৮৭টি। ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৮০ জন।
মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩ টি ওয়ার্ডে ১০ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার ১১টি ভোটকেন্দ্রে মক ভোটিং (নমুনা ভোট) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে পারব।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, তার সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
পূর্বকোণ/এএ