চট্টগ্রাম শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

কোরবানির আগেই মসলার বাজার চড়া

ক্ষেত্র বিশেষে বেড়েছে কয়েকগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ঘনিয়ে আসছে কোরবানির ঈদ। এরমধ্যেই বেড়ে গেছে কয়েক পদের মসলার দাম । পাইকারি বাজারসহ খুচরা বাজারে সব রকম মসলার দাম চড়ে গেছে কয়েকগুণ। পনের দিন আগেও মোটামুটি স্থির ছিল মসলার বাজার। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাচ, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, জাইফল, যত্রিকের দাম বেড়েছে। নিয়ন্ত্রণে নেই আদা ও রসুনের দামও। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়িরা বলেন, নতুন বাজেট ঘোষণার পরেই এমন উচ্চ হারে দাম বেড়েছে মসলার। বাজারে দামি মসলা হিসাবে পরিচিত এলাচের আমদানি মূল্য ৮৫০ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। আবার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়। যত্রিকের আমদানি মূল্য ৩২৮ টাকা। পাইকারি মূল্য ২২০০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। জিরার আমদানি মূল্য ২৪৪ টাকা। পাইকারি বাজারে ৩০০ থেকে ৩৭০ টাকায় ও খুচরা বাজারে ৪০০-৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি আমদানি মূল্য ১৩২ টাকা। পাইকারি মূল্য ৩৫০-৪০০ ও খুচরা বাজারে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকায়। জাইফলের পাইকারি মূল্য৪৩০-৪৬০ টাকা ও খুচরা মুল্যে ৫০০-৫২০ টাকায়। লবঙ্গর আমদানি মূল্য৪০৪ টাকা। পাইকরি মূল্য৭৫০-৮০০ টাকা ও খুচরা বাজারে ৮২০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হলুদের আমদানি মূল্য ৮৭ টাকা, পাইকারি মূল্য ৯৮-১০০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিচের পাইকারি মূল্য১৬০-১৬৬ টাকা ও খুচরা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। পোস্তার পাইকারি মূল্য১৩০০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। আবার মিষ্টি জিরার পাইকারি মূল্য ১৫০ টাকা আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। সাধারণ মসলার মধ্যে আদার পাইকারি মূল্য ১২০ টাকা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদার মূল্য ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের পাইকারি মূল্য ১২০ টাকা ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৯০ টাকায়। বাজারে প্রতি পদ মসলায় আমদানি মুল্যের চেয়ে তিনগুণ হারে দাম বেড়ে বিক্রি করছে অতি মুনাফা ভোগী পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে দুই দিন আগের চেয়ে দাম কমেছে পেঁয়াজের। গত দুইদিন আগেও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩৭-৪০ টাকা ছিল। কিন্তু গতকাল বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকায়। ক্রেতারা বলেন, বাজারে মসলার দাম সোনার দামের চেয়েও বেশি। যাদের সামর্থ্য আছে

তাদের না হয় চলে যাবে কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত, নি¤œ মধ্যবিত্ত তারা কেমনে কি করবে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। কর্ণফুলি কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মসলার বাজার পুরোটাই আমদানি নির্ভর। দেশের বাহির থেকে মসলা আসার পর বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা আমাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে। তাই আমাদেরও দাম দিয়ে বিক্রি করতে হয়। পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, বাজেটের কারণে এবারে মসলার দাম এতো বেড়েছে। মূলত গুয়েতেমালা থেকে এলাচি, চীন এবং ভিয়েতনাম থেকে দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ আমদানি করা হয়। এছাড়া ভারত থেকে জিরাসহ আরো কিছু মসলা আসে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট