চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ফেসবুকে ধর্মীয় ‘উস্কানি’, দুই মাদ্রাসাছাত্র গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১:৩৬ অপরাহ্ণ

ফেসবুকে ধর্মীয় ‘উস্কানিমূলক’ স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে দুই মাদ্রাসাছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুহাম্মদ শিব্বির বিন নজির (২১) ও রিফাত খন্দকার (২১)। দু’জনই ঢাকার মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘শিব্বির গত ২৭ অগাস্ট সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়েছিলেন। সেখানে আজান দেওয়ার ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বার্তা দেন। আর রিফাত তার পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা কেশব বলেন, শিব্বির ‘সুন্দরবন ট্যুরিজম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন। সে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কিছু পর্যটক নিয়ে গত ২৭ অগাস্ট সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম মহাতীর্থ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট প্রচার করার অভিযোগে চার যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাসুদেব রায়।

জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট মুহাম্মদ শিব্বির বিন নজির নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট দিয়ে বলা হয় ‘চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আজান দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ অতি শিঘ্রই সেখানে ইসলামের পতাকা উড়বে’। এই পোস্টটির সাথে সাথে আরো বিভিন্ন আইডি থেকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য শুরু হয়। এর ফলে সীতাকুণ্ডে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রতিবাদে বলেন, চন্দ্রনাথ ধাম সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অতি প্রাচীন তীর্থভূমি। এটি সংরক্ষিত তীর্থভূমি হলেও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এ তীর্থের মঠ-মন্দির এলাকা কিংবা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসেন। কিন্তু গত দুই বছর যাবত কিছু কিছু ব্যক্তি এই তীর্থস্থানকে ঘিরে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছেন। এতে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে এখানে যে সহাবস্থান আছে তা নষ্ট হতে পারে। সীতাকুণ্ড পৌরসভার কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ, সামি আল মুজতবা, সাইফুর রহমান শাকিলসহ আরো অনেকে এই তীর্থে এসে এ ধরণের কাজ করায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রশাসনের তৎপরতায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন বাসুদেব রায়।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট