চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অরক্ষিত বেড়িবাঁধে ব্লক বসানোর দাবি

বাঁশখালী সংবাদদাতা

১৪ জুন, ২০২১ | ৬:৪৪ অপরাহ্ণ

উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে শঙ্খ নদীর ভাঙনে রাতাখোর্দ্দ ও পশ্চিম বৈলগাঁও এলাকার লোকজন বার বার ভাঙনের শিকার হয়ে বসতভিটে ও কৃষিজমিহারা হচ্ছে। শঙ্খ নদীর ভাঙনে গত ১২ বছরে বিলীন হয়েছে ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪টি মসজিদ ও ২টি মন্দির।

জানা গেছে, ঐ এলাকার দেড় শতাধিক পরিবার বর্তমানে পাহাড়ি এলাকা ও অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। গত ১৫ বছরে সাধনপুর ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম মানচিত্র থেকে মুছে গেছে। ইয়াসের প্রভাবে সম্প্রতি সাধনপুরের দুটি গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। ৭০০ মিটার এলাকা অরক্ষিত থাকায় বর্তমানে এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পোল্ডার ৬৪/১-বি এর আওতাধীন সাধনপুর ইউনিয়নের উপকূলীয় রাতারকুল, রাতাখোর্দ্দ ও পশ্চিম বৈলগাঁও গ্রাম। অতি বর্ষণে বান্দরবান পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রবাহিত পাহাড়ি ঢলের পানি সাধনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে শঙ্খ নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মিলিত হয়। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পেলে শঙ্খ নদীর প্রবল স্রোতে বিভিন্ন গ্রামের কুলকিনারা ভেঙে লোকালয়ে জোয়ার ও ঢলের পানি ঢুকে পড়ে। বেড়িবাঁধটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয় সমাজসেবক কেএম সালাউদ্দিন কামাল বলেন, ইয়াসের প্রভাবে সম্প্রতি এলাকায় পাহাড়ি ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। পশ্চিম বৈলগাঁওয়ের রাতাখোর্দ্দ এলাকায় শতাধিক পরিবার অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে শঙ্খ নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশের পরিমাপ করেছেন। এ এলাকায় যদি স্থায়ী বাঁধ না হয়, তবে এলাকার লোকজন প্রতিবছর ভাঙনের কবলে পড়বে।

সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা বলেন, সাধনপুর ইউনিয়নের উপকূলীয় অংশে বসবাসকারী লোকজন বার বার ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান ব্রাদার্স থেকে বেড়িবাঁধের উপর ব্লক দিয়ে কিছু পানি ঠেকানো হচ্ছে। বাকি অংশ এখনো অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বাঁশখালী) প্রকাশন চাকমা বলেন, সাধনপুরের ভাঙন এলাকা পরিদর্শনের পর জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। স্থায়ীভাবে ব্লক বসানোর জন্য ২৭ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট