চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মানিকছড়িতে ওসিএলএসডি’র দোষ স্বীকার

মো. ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি

২৩ এপ্রিল, ২০২১ | ১:২৬ অপরাহ্ণ

মানিকছড়ি উপজেলাধীন ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চলতি এপ্রিল মাসের আতপ চাউল উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়। যা গত ১৮ এপ্রিল থেকে বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছিল সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ।

ভিজিডির আওতায় উপজেলার ১ হাজার ৪ শ ৬৪ জন সুবিধাভোগীর মাঝে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বরাদ্দকৃত খাদ্য শস্যের ছাড়পত্রের (ডিও) তথ্য গোপন করে আতপের পরির্বতে সিদ্ধ চাউল ছাড় করেন খাদ্য গুদামে দায়িত্বরত ওসিএলএসডি মো. শামিম উদ্দিন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে আতপের পরিবর্তে নিম্নমানের চাউল বিতরণের অভিযোগ উঠে। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে আসে। পরের দিন (১৯ এপ্রিল) প্রাথমিক তদন্ত শেষে আতপের স্থলে সিদ্ধ চাউল সরবরাহের সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ওসিএলএসডিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন এবং ভিজিডির চাউল বিতরণকালে নিম্নমানের চাউলের বস্তা পাওয়া গেলে তা খাদ্যগুদামে ফেরত দিয়ে পরিবর্তন করে নিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবদের মৌখিকভাবে নির্দেশনাও দিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে অভিযুক্ত ওসিএলএসডি মো. শামিম উদ্দিন লিখিত জবাব দিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানান গেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায, অভিযুক্ত ওসিএলএসডি মো. শামিম উদ্দিন বিভিন্ন সময়ে সরকারি বরাদ্দকৃত চাউল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কালোবাজারে বিক্রি করে কম দামি ও নিম্নমানের চাউল খাদ্য গুদামজাত করে তা ভিজিডি, গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্নভাবে তা সরবরাহ করেন। এসবের প্রতিবাদ করায় অনেকেই তার কাছে অপমানিত হয়েছেন।  আতপের পরিবর্তে

নিম্নমানের সিদ্ধ চাউল বিতরণের ব্যাপারের জানতে চাইলে খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি মো. শামিম উদ্দিন জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান-সচিবদের অনুরোধেই তিনি আতপের পরিবর্তে সিদ্ধ চাউল সরবরাহ করেছেন। অবশেষে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন এবং বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখারও অনুরোধ করেন।

এদিকে গত বুধবার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন।

মানিকছড়ি উপজেরা নির্বাহী অফিসার তামান্না মামহমুদ জানান, অভিযুক্ত মানিকছড়ি খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি মো. শামিম উদ্দিন কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব দাখিল করেছেন। তার লিখিত জবাব খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট