চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পণ্য পরিবহন বাড়াচ্ছে রেল

মিজানুর রহমান

৭ এপ্রিল, ২০২১ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন। এর সুযোগ নিয়ে পণ্য পরিবহন বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। লকডাউনের কারণে সড়কে পণ্য পরিবহন স্থবির থাকায় ট্রেনে পণ্য পরিবহনের চাহিদাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ইঞ্জিন ও লোকবল সংকটের কারণে স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম থেকে দুই-তিনটি মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। গত সোমবার থেকে বন্ধ যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও লোকবল কাজে লাগিয়ে এখন সাতটি মালবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে। মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। লকডাউনের প্রথম দিন সোমবার কনটেইনার, তেল ও খাদ্য সামগ্রীসহ নানা পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে সাতটি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবারও সাতটি মালবাহী ট্রেন পণ্য নিয়ে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহশীষ দাশ গুপ্ত।

তিনি দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, মালবাহী ট্রেনে ইঞ্জিন ও লোকবল সংকট রয়েছে। এ কারণে চাহিদা থাকলেও দুই-তিনটির বেশি মালবাহী ট্রেন চালানো যায় না। লকডাউনের কারণে এখন যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছি আমরা। যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও লোকবল দিয়ে প্রতিদিন সাতটি মালবাহী ট্রেন চালানো হচ্ছে।

গত রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ৭ দিনের লকডাউনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণার পর ওই দিনই মালবাহী ট্রেন চলাচল বাড়াতে রেলওয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয় নগরীর সিআরবি ভবনে। মহাপরিচালকের নির্দেশনা পেয়ে লকডাউনে মালবাহী ট্রেন চলাচল বাড়াতে একগুচ্ছ প্রস্তাবসহ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক বরাবর চিঠি দেয় চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পূর্ব) এর কার্যালয়। ডেপুটি সিওপিএস মো. জাকির হোসেন এই চিঠি পাঠান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে কনটেইনার, খাদ্য ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইতোমধ্যে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ২৩ হাজার মেট্রিন টন খাদ্য সামগ্রী পরিবহনের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া সেচ মৌসুম থাকায় তেলের ডিপোতে তেল পরিবহনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যবাহী কনটেইনার জটও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও ক্রু দিয়ে সর্বাধিক সংখ্যক মালবাহী ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।

মালবাহী ট্রেন চলাচল বাড়ানোর পাশাপাশি এই সময়ে ১১টি নির্দেশনা পালনের কথা উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। এর মধ্যে রেলওয়ে কন্ট্রোল অফিস থেকে মালবাহী ট্রেন পরিচালনা মনিটরিং ছাড়াও মালবাহী ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে যাওয়া এবং গার্ড, এলএম, এএলএম ও নিরাপত্তা কর্মীদের সঠিক সময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়। এছাড়া ট্রেন পরিচালনার সাথে জড়িত সব কর্মচারীদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা নির্দেশনাবলী প্রতিপালনের পাশাপাশি পণ্যবাহী, তেলবাহী ট্রেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানো, পণ্য খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য জিআরপি ও আরএনবির কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট