চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ড: গৃহিণী থেকে ভোটের মাঠে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৬:২০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর ছিলেন সদ্যপ্রয়াত তারেক সোলেমান সেলিম। ১৯৯৪ সালের নির্বাচনে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। চারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারবারই জয়ী হয়েছেন। সেলিমের জনপ্রিয়তায় ভর করে এখন এই চেয়ারে প্রার্থী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা খানম। গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম। কিন্তু ১৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান। ২০ জানুয়ারি ওই ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, আগের তফসিলে প্রার্থী ছিলেন চারজন। তারা হলেন হানিফ ভূঁইয়া, মো. আবদুস সালাম, মোহাম্মদ দিদারুর রহমান ও তারেক সোলেমান সেলিম। তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুর পর তিন প্রার্থী রয়েছেন। নতুন তফসিলে আরও দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন তারেক সেলিমের স্ত্রী হাসিনা খানম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এয়াছির আরাফাত। গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে ৪১ সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়। ১৮নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. হারুন উর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ৪০ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ১৭২ জন। তার সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত হলেন আরও দুইজন। সাধারণ ওয়ার্ডে পুরুষের সঙ্গে ১৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী হলেন হাসিনা খানম।

হাসিনা খানম বলেন, আমাদের পরিবারটি হচ্ছে পুরোপুরি রাজনৈতিক পরিবার। ১৯৯৪ সালের পর কাউন্সিলর পদে চারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন তারেক সোলেমান সেলিম। এছাড়াও নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু থেকে দেশের প্রতিটি আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তাঁর জানাজায় মানুষের ঢল দেখে জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর পর এলাকায় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর অনুরোধ ছিল আমাদের পরিবার থেকে একজন প্রার্থী হওয়ার। সেই অনুরোধে পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, এলাকাবাসী তাঁর (তারেক সোলেমান সেলিম) প্রতি ভালবাসার প্রতিদান দেবেন। আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। তাঁর সৎকর্ম ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।    

তারেক সোলেমানের একমাত্র ছেলে বুয়েট পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোহাইমিন তারেক রাতুল বলেন, ‘আব্বা ছিলেন আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। কিন্তু এবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দলীয় সমর্থন পাননি তিনি। এতে কষ্ট পেয়েছেন তিনি। আব্বার প্রতি মানুষের অগাধ ভালবাসা ও আস্থা ছিল। আশা করি, আম্মাকে নির্বাচিত করে সেই ভালাবাসার প্রতিদান দেবেন। 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট