চট্টগ্রাম জেলার কেন্দ্রীয় ইপিআই স্টোর থেকে আজ শুক্রবার উপজেলাগুলোতে পাঠানো হবে করোনার ভ্যাকসিন। সকাল থেকেই পৃথকভাবে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া ভ্যাকসিনগুলো পৃথক পরিবহনে ১৪ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হবে। এসব উপজেলাতেও রবিবার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। গতকাল রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, নগরী ছাড়া প্রত্যেক উপজেলা­তে শুক্রবার ও শনিবার টিকা পৌঁছানো হবে। যাতে রবিবার থেকে কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে কোন উপজেলায় কত ভ্যাকসিন পাবে, তা বরাদ্দ তালিকাও করা হয়েছে। আশা করে একই দিনে সকল টিকাদান কেন্দ্রে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে সক্ষম হবো। প্রসঙ্গত : নগরীসহ চট্টগ্রাম জেলার জন্য ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ এসেছে। যা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই কোল্ড রুমে ওয়ার্ক ইন কুলারে সংরক্ষণ রয়েছে। টিকা বরাদ্দ আসার পর দিনই নগরীসহ উপজেলার জন্য পৃথকভাবে বণ্টনের তালিকা করা হয়। এরমধ্যে শুধুমাত্র নগরীর ১৫ কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ ভ্যাকসিন। বাকি ৩ লাখ ১ হাজার ৯৫ ডোজ টিকা দেয়া হবে ১৪ উপজেলায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যে জানা যায়, উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডোজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পটিয়ায়। এ উপজেলায় দেয়া হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি ভ্যাকসিন ডোজ। এছাড়া আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫২৪ ডোজ, বাঁশখালীতে ২৫ হাজার ৮৪১ ডোজ, বোয়ালখালীতে ১৩ হাজার ৩৭২ ডোজ, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩ হাজার ৯৬৫ ডোজ, ফটিকছড়িতে ৩১ হাজার ৫২৫ ডোজ, হাটহাজারীতে ২৫ হাজার ৮৭৬ ডোজ, লোহাগাড়ায় ১৬ হাজার ৭৭৬ ডোজ, মিরসরাই উপজেলায় ২৩ হাজার ৮৯৬ ডোজ, রাঙ্গুনিয়ায় ২০ হাজার ৩১৭ ডোজ, রাউজানে ১৯ হাজার ৩৪৯ ডোজ, সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৯৭ ডোজ, সাতকানিয়াতে ২৩ হাজার ৬২ ডোজ, সীতাকু-ে ২৩ হাজার ২৪৪ ডোজ। নগরীতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৫ ডোজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পূর্বকোণ / আরআর