চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মাতারবাড়ি-চকরিয়া চারলেন সড়ক নির্মাণে জরিপ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ২:২৮ অপরাহ্ণ

মহেশখালীতে নির্মাণাধীন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে চকরিয়া পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের একটি ‘ডেডিকেটেড সংযোগ সড়ক’ নির্মাণের জরিপ কাজ শুরু করেছে জাপানি প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট গ্লোবাল কোম্পানি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাথে চুক্তি অনুযায়ী জাপানি এই প্রতিষ্ঠানটি ডেডিকেটেড সংযোগ সড়কটির জরিপ, নকশা তৈরি, প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রস্তুত করবে। মাঠপর্যায়ে শুরু হওয়া এই ডিজিটাল জরিপকাজ কাজ শেষ করতে সময় ধরা হয়েছে এক বছর। এতে ব্যয় হবে ৪৬৬ কোটি টাকা।

সড়কটি মহেশখালীর মাতারবাড়ি বন্দর থেকে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী হাঁসেরদিঘিস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে যুক্ত হবে। পরে সড়কটি চকরিয়া পৌরসভার যানজট এড়াতে বাইপাস হয়ে কাকারা ইউনিয়নের বারআউলিয়া নগর রাস্তার মাথা এলাকায় গিয়ে আবারো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে যুক্ত হবে। এই বাইপাস সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে মাতামুহুরী নদীতে নির্মিত হবে আরও একটি নতুন সেতু।

সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ওরিয়েন্টাল কোম্পানি জরিপ করে প্রকল্পের বিস্তারিত নকশা ও প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করবে। একাজ করতে সংস্থাটির এক বছর সময় লাগবে। সব ঠিক মতো চললে আগামী বছরের মধ্যেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর ঠিকাদার বাছাই প্রক্রিয়া ও নিয়োগদানের পর শুরু হবে সড়কের মূল নির্মাণ কাজ। তবে সড়কটি কোন পথে যাবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানায় সওজ সূত্র।

জানা যায়, ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণ করতে ছোট-বড় কমপক্ষে ২২টি সেতু নির্মাণ করতে হতে পারে। এছাড়া বদরখালী ও মাতামুহুরী নদীর উপর পৃথক দুটি সেতু নির্মাণ করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সবকিছু নির্ধারণ হবে ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট গ্লোবাল কোম্পানির জরিপের ফলাফলের পর।

প্রসঙ্গতঃ মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণণকাজ শেষ হবে ২০২৬ সালে। তবে জাপানি সংস্থার তত্ত্বাবধানে চলমান কাজের অগ্রগতি থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মাতারবাড়িতে জাহাজ ভিড়তে পারে।

মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে উন্নয়ন প্রকল্পের জাপানি কনসালটেন্ট নিপ্পন কোয়েইর সাথে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় গত ১৬ নভেম্বর। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাপানি এই সংস্থার সাথে চুক্তিও হয়েছিল। ২০২৬ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ হলে নতুন অর্থনৈতিক বেল্ট হবে কক্সবাজার। এই বন্দরে ৮ থেকে ১০ হাজার কনটেইনার নিয়ে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। যেখানে ৪৬০ মিটার লম্বা জেটিও তৈরি করা হবে। কনটেইনারের চাহিদা বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে সেখানে ৮ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করার মত প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে জেটির সংখ্যা বাড়লে এর সক্ষমতাও আরো বাড়বে।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট